#৩৯

367 15 0
                                    

#আকাশ_পাঠাবো_তোমার_মনের_আকাশে
#নাইমা_জাহান_রিতু
#পর্ব_৩৯

রাতের উপর রাত বাড়ছে.. তবে খোঁজ মিলছে না দ্যুতির। মেয়েটি কোথায় কখন গেলো? আর গেলেও বা কেনো বলে গেলো না? চিন্তিত হলেন আলাউদ্দীন খন্দকার। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দীদারকে পাঠালেন পার্লারে।
-দ্যুতি বেরুনোর আগে আমাদের কেনো কিছু বলে গেলো না?
দীপা বললো,
-জানি না। শুধু বললো, আমার এখন পার্লারে যেতে হবে। না গেলে মরে যাবো।
ভ্রু কুঁচকে ফেললেন দিলরুবা খন্দকার।
-এসব কী ধরনের কথা? মেয়েটা আমার দিনেদিনে পাগল হচ্ছে নাকি? তুই এসব কথা শুনে কিছু বলিসনি?
-না..
-তা কেনো বলবি? তোর কি সেইসব বুদ্ধি সুদ্ধি আছে?
-আমাকে বকছো কেনো? আমি কি জানতাম আপু বাসায় ফিরবে না!
এরইমাঝে দীদার এল হতাশ হয়ে। ছাড়াছাড়া ভাব নিয়ে সে বললো,
-ওরা বললো দ্যুতি বেশ কিছু দিন হলোই নাকি পার্লারে যাচ্ছে না.. আজও যায়নি।
থমথমে গলায় দিলরুবা খন্দকার বললেন,
-আল্লাহরে! আমার মেয়েটা তাহলে গেলো কোথায়?
-ইশতিয়াকের সাথে দেখা করতে যায়নি তো?
নীতা বললো,
-তাছাড়া কই যাবে? খোঁজ নিয়ে দেখুন সেখানেই আছে। ওর আবার লজ্জাসরম আছে নাকি? নয়তো বারবার যারা বাড়ি থেকে বের করে দেয় ঘুরেফিরে তাদের বাড়িতেই কেন যাবো আমি? খুব তো আত্মসম্মানের বুলি ফোটায়, অথচ নিজের বেলায় সেসব মানতে টনটনা।
-তুমি চুপ করো তো। তোমার কথা কেউ শুনতে চেয়েছে?
-না চাইলেও আমি বলবো। আমি এই পরিবারে সদস্য। আমার সব বিষয়েই বলার অধিকার আছে।
-অধিকার থাকলেই যা নয় তাই বলবে? তোমার মনে কি মায়াদয়া নেই? আমার মেয়েটার উপর দিয়ে কত ঝড় তুফান গেছে, ভেবে তোমার কখনোই ওর জন্য কষ্ট হয় না?
-হবে না কেনো? হয়.. তবে ও ওর নিজের দোষেই আজ এতটা কষ্ট পাচ্ছে।
-তোমরা থামো.. আমার চিন্তায় চিন্তায় অস্থির লাগছে। আর তোমরা এসব শুরু করেছো? দীপা, মা আমার ফোনটা নিয়ে আয়। দেখি ইশতিয়াককে কল দেই।
আলাউদ্দীন খন্দকারের কথায় ঘরের দিকে পা বাড়ালো দীপা। ভয়ে তার গলা শুকিয়ে আসছে। আপু আবার দুলাভাইয়ের বিয়ের কথা শুনে উল্টাপাল্টা কিছু করে বসলো না তো! নয়তো বাড়ি ছেড়ে বেরুনোর আগে সে কেনো বললো মৃত্যুর কথা?

আকাশ পাঠাবো তোমার মনের আকাশে Where stories live. Discover now