#৫

556 17 0
                                    

#আকাশ_পাঠাবো_তোমার_মনের_আকাশে
#নাইমা_জাহান_রিতু
#পর্ব_৫

শুক্রবার মানেই সকল কাজের চাপ ভুলে আরাম আয়েশে একটি দিন কাটিয়ে দেয়া। তবে আর দশটি শুক্রবারের মতো নয় আজকের শুক্রবারটি। এই শুক্রবারে দেরি করে বিছানা ছাড়া হয়নি আর না হয়েছে আগের রাতে আরামের ঘুম! পুরোটা রাত ছটফট করেছে বুকের ভেতরটায়। অদ্ভুত এক আনন্দ পুরো শরীরে শিহরণ জাগিয়েছে। দ্যুতি কাল এবাড়িতে আসবে। তার সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমোবে। তাদের বিয়ের রাতের মতো কখনও বা বায়না করে বলবে একটি চুমু খাবেন? ভাবতেই মনের খাঁচার ভেতরে দীর্ঘদিনের পোষ-মানানো পাখিকে উড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে তার পাখা ঝাপটে আকাশপানে উড়ে বেড়ানোর আনন্দ দেখে সুখ পেতে।
-ভাইয়া আসবো?
নিজের ঘরে বসে ভাবনায় নিমগ্ন ছিল ইশতিয়াক। হঠাৎ ইশরাকের ডাকে তাতে ছেদ পড়ায় উঠে দাঁড়ালো সে। মৃদু হেসে বললো,
-আয়..
-মা আমায় ভাবিদের ওখানে যেতে বলছে।
-দ্যুতিদের ওখানে?
-তো? তুমি এভাবে বলছো যেনো আমার ভাবি আরও আছে দশেক!
-ধুর! তেমন কিছু না। কিন্তু তুই এত তাড়াতাড়ি কেনো যাবি?
-মা বললো বিয়ের ডালা নিয়ে আগেভাগেই যেতে।
-আগেভাগেই কেন?
-যেনো আমাদের গিয়ে বেশি একটা দেরি না হয়। তো তোমার হয়ে ভাবিকে কোনো ম্যাসেজ দিতে হবে নাকি? থাকলে বলে দাও.. দিয়ে দিব।
-না.. তুই যা।
ম্যাসেজ অর্থাৎ বার্তা। যা দেয়ার আছে। অনেক কিছু বলার আছে দ্যুতিকে। সেদিনের পর থেকে দ্যুতির সঙ্গে আর কথা হয়নি, দেখা তো দূরস্থান। তবে প্রায় বিকেলেই ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে দ্যুতিদের এলাকায় গিয়েছে ইশতিয়াক। তবে বাড়ি অব্দি যাওয়া হয়ে উঠেনি। কখনো সংকোচ কখনোবা দ্যুতির উপর এক আকাশ অভিমান ঠেকিয়ে দিয়েছে তাকে। দ্যুতি কেনো তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেনি? সে তো নিয়মিত বাইরে বের হয়। তাহলে একটিবার কি সে পারতো না বাইরে থেকে তার নাম্বারে কল করতে? পারতো.. হয়তোবা জরুরী মনে করেনি। তবে নিজে থেকে সে একবার কল করে বসেছিল আলাউদ্দীন খন্দকারের নাম্বারে। তবে সেসময় দ্যুতি বাড়িতে ছিল না। এত রাতে কোথায় গিয়েছে জানতে চাইলে আলাউদ্দীন খন্দকার খানিকটা বিব্রত গলায় বলেছিলেন, পাশের এক বাড়িতে। আসলে কল দিতে বলবো.. তবে হয়তো সেই আসাটাই আর হয়ে উঠেনি দ্যুতির আর না তার নাম্বারে কল এসেছে। মেয়েটি কি খুব বেশিই গম্ভীর?

আকাশ পাঠাবো তোমার মনের আকাশে Where stories live. Discover now