#১২

481 15 0
                                    

#আকাশ_পাঠাবো_তোমার_মনের_আকাশে
#নাইমা_জাহান_রিতু
#পর্ব_১২

দ্যুতি ঘরে প্রবেশ করতেই মৃদু হাসলো হাসান। খানিকটা সরে বসে দ্যুতিকে বসার জায়গা করে দিয়ে বললো,
-দেশের কী এক পরিস্থিতি! আজকাল মন্ত্রী টন্ত্রীদের কথা শুনলেও এখন হাসি পায়.. কাল জহরুল সাহেব কী বলেছেন শুনেছো?
মাথা নেড়ে দ্যুতি না সম্বোধন করতেই হাসান আবারও মৃদু হাসলো।
-পতিতালয় নাকি বন্ধের ব্যবস্থা করবে... আমি বলি দেশে অরাজকতা সৃষ্টির কী দরকার? পতিতালয় চলছে চলুক না! এ ছাড়া কিভাবে চলবে পুরুষেরা? শরীরের চাহিদা ঘরের বউ পূরণে ব্যর্থ হলে রাস্তা থেকে মেয়েদের ধরে বেধে নিয়ে তারা কাজ সারবে?
পুরো শরীর ঘিনঘিন করে উঠলো দ্যুতির। এই সেই লোক, যাকে সাক্ষী রেখে বিয়ের মতো একটি পবিত্র বন্ধনে জুড়েছিল তারা?
-একটি পতিতালয় বন্ধ হলে দেশে কত গুম, খুন, রেপ বাড়বে তা ধারণা করতে পারছো?
দ্যুতির দিক থেকে কোনোরকমের সাড়া না পেয়ে তার দিকে খানিকটা এগিয়ে বসলো হাসান। সহজ গলায় বললো,
-দেখি.. এদিকে এসে ঘাড় টা টিপে দাও তো।
রোবটের মতো উঠে দাঁড়িয়ে দ্যুতি হাসানের ঘাড়ে হাত রাখতেই বিশ্রী এক শব্দ মুখ দিয়ে আওয়ালো সে। তারপর একটি সিগারেট ধরিয়ে নাক মুখ দিয়ে ধোঁয়া ছেড়ে তাকালো দ্যুতির পায়ের দিকে।
-তবে যাই বলো, পতিতাদের সাথে শুয়ে মজা নেই। শুয়ে মজা কিন্তু সাধারণ ঘরের সুন্দরী মেয়েদের সাথেই। আহ..কী তাদের শরীরের ঘ্রাণ! পুরো মাতাল করে দেয়। তুমি কি জানো দ্যুতি? তোমার হিপ কী সুন্দর! হাটলে মনে হয় পেছন থেকে ধরে ফেলি দু'টোকে।
চোয়াল শক্ত হয়ে এল দ্যুতির। হাসানের ঘাড় থেকে হাত সরিয়ে কয়েক কদম পিছিয়ে পড়তেই পেছন ফিরলো হাসান। দ্যুতির দু'হাত ধরে তাকে জোর করে নিজের পাশে বসিয়ে দু'হাত শক্ত করে চেপে ধরে নরম সুরে বললো,
-কি হলো? সরে গেলে যে!
সে কথার জবাব না দিয়ে চোখজোড়া বুজলো দ্যুতি। সময় নিয়ে ক্ষীণ স্বরে বললো,
-সারজিম আপনার কাছে থেকে কত টাকা নিয়েছে?
-কেনো? তুমি সে টাকা পরিশোধ করবে?
-হ্যাঁ..
চোখ মেলে দ্যুতি জবাব দিতেই খলখল করে হেসে উঠলো হাসান।
-কিভাবে করবে? তোমার বাবার কাছ থেকে চাইবে না সারজিমের বাবার কাছ থেকে?
-সেটা আমার ব্যাপার। আপনি টাকার পরিমাণটা বলুন।
-আমি টাকা চাই না.. টাকার বদলে আমি যা চাই তা আমি সারজিমকে জানিয়ে দিয়েছি।
চোখেমুখে বিশ্রী এক হাসি নিয়ে খপ করে দ্যুতির কোমর চেপে ধরলো হাসান। তাকে টেনে নিজের শরীরের সাথে মিশিয়ে ঠোঁটজোড়া নিল নিজের ঠোঁটের দখলে। দ্যুতির ছটফটানি উপেক্ষা করে ধীরেধীরে সে ঠোঁট ছেড়ে কানের দিকে এগুতেই চেঁচিয়ে উঠলো দ্যুতি। নিজের সকল শক্তি দিয়ে তাকে ধাক্কা মেরে এগুলো সারজিমের খোঁজে।

আকাশ পাঠাবো তোমার মনের আকাশে Where stories live. Discover now