"ভেঙ্গেচুরে যায় আমাদের ঘরবাড়ি"
রুপ্তি কাপড় পরে শরীর থেকে বালি ঝাড়ে। এলোমেলো হয়ে যাওয়া চুল দুলছে, ঘাম চিকচিক করছে মুখে। ওড়নাটা খুঁজে পায় না ও। বলি, "ওদিকে আছে। ছাদের মাঝখানে।"
কয়েকটা ধবল বক উড়ে যায় আমাদের মাথার উপর দিয়ে। নিচে কর্মচঞ্চলতা বেড়েছে। পরোটা ভাজার গ্যাসের চুলার আওয়াজ আসছে এত উপরেও। রোদ উঠতে অনেক দেরি যদিও, শুরু হয়ে গিয়েছে দিনটা। নৈঋত কোণের একটা ছাদে, ফুটবল নিয়ে লাফালাফি করছে বাবা ছেলে।
রুপ্তি আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। জড়িয়ে ধরি ওকে, চুমু দেই। বলে, "ছাড়ুন- দেখবে কেউ!"
ছেড়ে দেই। বলে, "আগেই বলেছিলাম, আজই শেষ। আর কিন্তু আমাকে পাবেন না!"
ওর মুখের দিকে তাকাই। সকালের উদ্ভাসিত আলোয় ওর রতিক্লান্ত তৃপ্ত পানপাতা মুখ, ঋদ্ধির আঁকা বিমূর্ত নারীদের মতো লাগে। বলি, "ভালো থেকো!"
আবার ফোনটা ভাইব্রেট করতে শুরু করে পকেটে। রুপ্তি বলে, "ফোনটা তুলুন। সেই তখন থেকে বাজছে। আমি তালা খুলে যাচ্ছি। আপনি যাওয়ার সময় মেরে দেবেন মনে করে। যাচ্ছি। ভাল থাকবেন!"
রুপ্তি আর দাঁড়ায় না। ফিরে দরজার দিকে হাঁটতে থাকে অবিন্যস্ত পায়ে।
পকেট থেকে ফোনটা বের করি। চৈতি!
"এত সকালে এত বার ফোন দিচ্ছো। কী হয়েছে, চৈতি?"
ওপাশ থেকে জবাব পাই না কোন। শুধু শোঁশোঁ আওয়াজ আসে ফোনের। কলটা কি ভুল করে এসেছে? এতবার ভুল করে আসবে?
হঠাত ফোঁপানির শব্দ পাই। মৃদু। বলি, "কী হয়েছে, চৈতি? কাঁদছ?"
"ওটা মারা যাবে। একদম মারা যাবে!", কাঁপা কাঁপা গলায় ফ্রিজে রাখা কাঁচা মাসের কণ্ঠে বলে চৈতি।
বুঝতে পারি না কিছু। জিজ্ঞেস করি, "কীসের কথা বলছো, চৈতি। আমি বুঝতে পারছি না! মারা যাবে মানে?"
চৈতি জবাব দেয় না। সর্দি লাগলে নাক টানে যেভাবে লোকে, সেভাবে শব্দ করে ও- হিচ্চচ! বলে, "আমি শেষ হয়ে গেছি। একদম শেষ, জানেন? আমার আর কিছু করার নেই।"
YOU ARE READING
ইরোটিক বড়গল্প সমগ্র (১৮+)
Romanceরগরগে সব মৌলিক উপন্যাসিকা ও ইরোটিকা থাকবে এখানে। সময় নিয়ে পড়তে অনুরোধ করছি। গল্পগুলো শুধুই প্রাপ্তমনস্কদের জন্য। এপর্যন্ত প্রকাশিত বড়গল্পগুলো (সম্পুর্ণ)- ছাত্রীর মায়ের ফটোসেশন (২য় পর্বে সমাপ্ত) নগদ যা পাই (ষষ্ঠ পর্বে সমাপ্ত) স্বাধীনতা (৩য় পর্বে সম...