সিলভিয়া প্লাথ
বান বাইক কিনেছে একটা। এফজেড। পুরান মডেলের। সেকেন্ড হ্যান্ড যদিও, তাতে যায় আসে না কিছু। মাত্র নয় হাজার কিলো চালিয়েছে আগের মালিক, মাইলেজ এখনো ৪০।
বলে, "আর ১০টা হাজার টাকা থাকলে জিএসএক্স আর পাইতাম রে ভাই। পুরাই সলিড কন্ডিশন। ৯০ হাজার টাকাই ম্যানেজ করলাম কত কষ্ট করে আর এক লাখ দশ পাবো কৈ। আর ২০টা হাজার। মালটা অবশ্য ক্রস- মানে ভারত থেকে আসছে বর্ডার দিয়ে! আমি যেভাবে হোক, আসল শোরুম কাগজ বের করে আনতাম!"
জিজ্ঞেস করি, "ভালোই কামাচ্ছিস তাহলে? কয়টা পরীক্ষা দিলি এপর্যন্ত?"
সেদিনের পর আজই ওর সাথে এপ্রসঙ্গে প্রথম কথা। প্রশ্নটা শুনে প্রথমে বিচলিত হয় বান, ইতস্তত হাসে। তারপর স্বভাবসুলভ উচ্চ কণ্ঠে বলে, "৫টা দিছি। ভালোই কামাই রে, ভাই। ঢাকায় টাকা উড়তেছে মনে কর। আমরাই পাচ্ছি না। একবার লিংক পাইলে, লাল হয়ে যাবি!"
লাল হওয়ার হালকা একটা নমুনা দেখতেই পাই চোখের সামনে।
বান বলে, "ব্যাপার-স্যাপারই আলাদা। চিন্তাও করতে পারবি না তুই। আমার কোচিং এর মালিক প্রাডো কিনছে। তোর কি মনে হয় এগুলা কোচিং এর টাকা? কয়টাকা আসে কোচিং থেকে? দুই আড়াইশো মাত্র স্টুডেন্ট। সব শালা দুই নাম্বারি। আর এমন ব্যবস্থা- পুলিশ জীবনে ওর কাছে যাইতে পারবে না! সিস্টেমটা করাই আছে, এখন খালি টাকা আসবে!"
আমি বানের লেকচার শুনতে থাকি। জগতটা দেখে এসেছে যেন ও- ক'দিনেই ওর বয়স বেড়ে গেছে কয়েক দশক। দাড়ি রেখেছে মুখে, মানিয়েছে ভালোই- ক্লিন সেভে ওকে বাচ্চা লাগে এখনো। বলে, "দেশটা দুর্নীতির ইকোসিস্টেমে চলছে। অটোমেটিক। আমি তোর খাচ্ছি, তুই খাচ্ছিস আরেকজনের। এইভাবে টিকে আছে। যে খাইতে পারতেছে না, সে পত্রিকার মোরালিটি নিয়া প্রবন্ধ লিখতেছে!"
বান দোকানদারকে চা আর সিগারেট দিতে বলে। দোকানদারও এতক্ষণ ওর কথা শুনছিল।
সিগারেট ধরিয়ে বলে, "তেলাপোকা হইতে হবে বুঝলি। তেলাপোকা কিন্তু ডায়নোসরের যুগের। ডায়নোসর পচে কংকাল, তেলাপোকা এখনো টিকে আছে। এক্সটিংক্ট হওয়ার কোন চান্স নাই যতোই কালা হিট দাগা- আমি হবো ঐ তেলাপোকা।"
YOU ARE READING
ইরোটিক বড়গল্প সমগ্র (১৮+)
Romanceরগরগে সব মৌলিক উপন্যাসিকা ও ইরোটিকা থাকবে এখানে। সময় নিয়ে পড়তে অনুরোধ করছি। গল্পগুলো শুধুই প্রাপ্তমনস্কদের জন্য। এপর্যন্ত প্রকাশিত বড়গল্পগুলো (সম্পুর্ণ)- ছাত্রীর মায়ের ফটোসেশন (২য় পর্বে সমাপ্ত) নগদ যা পাই (ষষ্ঠ পর্বে সমাপ্ত) স্বাধীনতা (৩য় পর্বে সম...