ছাত্রীর মায়ের ফটোসেশন ১

5.9K 15 1
                                    

সিগারেট টানছিলাম আনন্দ সিনেমা হলের নিচে দাঁড়িয়ে। অনেক কথাই মনে আসছে। ঢাকার এই জনবহুল জায়গাতেই আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়টা কেটেছে। কোচিং করতাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য, থাকতাম এখানকারই একটা মেসে। সে মেসের খাবার যেমন জঘন্য ছিল, তমনি ছিল থাকার পরিবেশ। আমার রুমমেট ছিল এক মাছ ব্যবসায়ী। সে ব্যাটা সারাদিন আড়তে কাটিয়ে রাত দশটায় ফিরে যখন ভোস ভোস করে কমদামী সিগারেট টানত (কোন কোন দিন আকিজ বিড়ি), তখন দম বন্ধ হয়ে আসত আমার। তবে ব্যাটার মনটা ভাল ছিল। দুঃসময়ে অনেকদিন তার কাছে টাকা ধার নিয়েছি। অবশ্য প্রতিবার ধার দেয়ার সময় বলত, "শ্বশুরের ছেলে, টাকা সময় মত না দিতে পারলে কিন্তু ঢাকা থেকে লাত্থি মেরে বের করে দেব!"

ফার্মগেটের কোন মাছ ব্যবসায়ীর কাউকে লাত্থি মেরে শহরছাড়া করানোর ক্ষমতা আছে কিনা জানি না, তবে টাকা আমি তাকে সময়মতই দিতাম।

এভাবেই, কাটিয়ে দিয়েছিলাম এখানে তিনমাস।

কেউ বিশ্বাস করেনি, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাব। উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট ছিল জঘন্য। আমার মত রেজাল্ট ছিল যাদের, তারা তখন এলাকার কলেজে ডিগ্রি পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, আর আমি দূরাশায় ভর করে মেসের অখাদ্য খেয়ে পিঠটান করে পড়ছিলাম। তিনি পরিশ্রমের ফল সত্যিই পাব, এমন আশাও করিনি। সুতরাং চান্স পেয়ে আমার ছাতি যে দুই হাত হয়ে গিয়েছিল, সেটা না বললেও চলে।

এসব কথাই ভাবছিলাম সিগারেটের চিকন পাছা ঠোঁটে ঢুকিয়ে। হঠাত ভাবনায় ছেদ পড়ল এক জনের ডাকে।

"এক্সকিউজ মি, আপনি কি বারুদ?"

এমন জনসমুদ্রে কেউ আমাকে চেনার কথা নয়। তবে যেহেতু এখন আমি একটা কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেই আর সেখানকার ছাত্ররা আমাকে আসল নামে না চিনে 'বন্ধুদের ঠাট্টা করে দেয়া' বারুদ নামেই ডাকে সুতরাং সেখানকার কেউই হবে।

ফিরে তাকিয়ে দেখলাম, একজন মধ্য বয়স্কা। অসম্ভব সুন্দরী।

নিজের চেয়ে বয়সে বড় কেউ সামনে এলে স্বভাবতই আমি সিগারেট লুকাই অথবা ফেলে দেই। টিপিকাল বাঙ্গালী মানসিকতা। সিগারেটটা ফেলে পায়ে পিষে মহিলার মুখে ভোস করে একগাল ধোঁয়া ছুড়ে বললাম, "হ্যাঁ, আমি বারুদ। কিছু বলবেন?"

ইরোটিক বড়গল্প সমগ্র (১৮+)Where stories live. Discover now