"ও মেঘ, বৌয়ের মতো মেঘ"
একসাথে শেয়ালের কোরাসের মতো ঊর্ধ্বমুখী মসজিদগুলো থেকে আজান বেজে ওঠে। সুরেলা। রেকোর্ডেড। আশেপাশে কোথাও নতুন বিল্ডিং উঠছে একটা। একটানা রডের উপর হাতুড়ির আঘাত। ঘ্ররঘ্রর কী একটা মেশিনের শব্দ। যে চালতা গাছটার দিকে তাকিয়ে থাকি কিছুক্ষণ প্রতিদিন, তার পাতায় ধুলো জমেছে।
চৈতির মা একটা প্লেটে আম দিয়ে গেছেন।
চৈতিকে ভীষণ বিষণ্ণ লাগছে আজ। চোখের নিচে রাতজাগার চিহ্ন। উস্কোখুস্ক চুল। মুখটা গুমোট বর্ষার বৃষ্টিহীন সকালের মতো স্তব্ধ। কথা বলছে না অন্যান্য দিনের মতো। মনে হচ্ছে অপরিচিত কাউকে পড়াচ্ছি, যাকে চিনিনি কোনদিন।
আমার দেয়া কাজগুলো সুচারুভাবে করছে চৈতি। কথায় কথায় গল্প মনে পড়ছে না ওর।
"তুমি কি অসুস্থ, চৈতি?"
চৈতি স্বভাবসুলভ চমকে যাওয়া চোখে চট করে তাকায়। বলে, "কৈ না তো! এমনিই!"
পিরিয়ডের ব্যথা? আমি ভদ্রতাবশত প্রশ্ন করি না। বলি, "তোমাকে অন্যরকম লাগছে!"
এই নীরব অচেনা চৈতিকে পড়াতে ইচ্ছে করে না। প্রথম দিকে বেশি কথা বলে জন্যে বিরক্ত হয়েছিলাম ও উপর। অথচ, আজ এক মাসের মাথায়, কথা বলছে না বলে অস্বস্তি লাগছে। মনে হচ্ছে, কোন ভুল করেছি, যা আহত করেছে চৈতিকে। যেন ওর বিষণ্ণতার জন্য দায়ী আমিই।
আমি কি ওর বিষণ্ণতার কারণ হতে পারি?
পড়ানোর মাঝপথে অপরিচিত একজন এসে দাঁড়ায় ব্যালকনিতে। মধ্যবয়সী। মাথার সামনের টাকটা ঢাকতে পেছনের চুল সামনে জোর শোয়ানো। আমি তার দিকে তাকালে, বলে, "পড়াও। আমি তোমার পড়ানোর ডিস্টার্ব করব না!"
চৈতির বাবাকে দেখিনি কোনদিন। এই লোকটাই কী?
পড়ানোর সময় কেউ দাঁড়িয়ে থাকলে পড়াতে পারি না আমি। চৈতিকে কোনদিন এমন কিছু বলিনি, যা অন্যের সামনে বলা যায় না। কিন্তু সাধারণ কথাগুলোই আটকে যায় মুখে।
লোকটা চৈতির পাশে এসে দাঁড়ায়। মাথায় হাত দিয়ে বলে, "তুমি বুঝতে পারছো, মা?"
VOUS LISEZ
ইরোটিক বড়গল্প সমগ্র (১৮+)
Roman d'amourরগরগে সব মৌলিক উপন্যাসিকা ও ইরোটিকা থাকবে এখানে। সময় নিয়ে পড়তে অনুরোধ করছি। গল্পগুলো শুধুই প্রাপ্তমনস্কদের জন্য। এপর্যন্ত প্রকাশিত বড়গল্পগুলো (সম্পুর্ণ)- ছাত্রীর মায়ের ফটোসেশন (২য় পর্বে সমাপ্ত) নগদ যা পাই (ষষ্ঠ পর্বে সমাপ্ত) স্বাধীনতা (৩য় পর্বে সম...