একটি সভ্য শিক্ষিত বেড়াল ৯

1.8K 7 9
                                    


"আমরা শুধুই খানিক লোলুপ, খানিকটা বিব্রত!"

নিউমার্কেটের ওভারব্রিজে আটকা পড়ে যাই বৃষ্টিতে। একটু আগেও রোদ ছিল ঝকঝকে, যখন বেড়িয়েছিলাম। নিউমার্কেট পর্যন্ত এসেছি- হুড়মুড় করে বৃষ্টি এলো। ওভারব্রিজে পা ফেলার জায়গা নেই এখন। ঠাসাঠাসি, ঘামের গন্ধ, হলদে বগল। চট পেতে মেয়েদের সাজার জিনিস বিক্রি করছে যারা, থেকে থেকেই তাদের "পা দেবেন না, গেলো গেলো" শোনা যাচ্ছে। অনেকে এর মধ্যেই এটা ওটা কিনছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে একশো টাকার পার্স। ব্রিজের নিচ দিয়ে বাসগুলো সাই সাই করে যাচ্ছে পানি ছিটিয়ে- রাস্তা ফাঁকা।

এই ওভারব্রিজেই দেখেছিলাম ক'মাস আগে- মা চারপাঁচ মাসের শিশুকে টোকা দিয়ে কাদাচ্ছে, পদচারিরা যাতে কান্না শুনে ভিক্ষা দেয়।

আমরা সামনে দুটা মেয়ে দাঁড়িয়ে পাশাপাশি। অত্যুগ্র মেকাপ- বৃষ্টিতে সামান্য ধুয়ে গেছে; দুজনের চারহাতে শপিং ব্যাগ ধরছে না। তাকাব না তাকাব না করেও-সাধু সাজতে পারলাম না- একজনের স্তন ঝুলেছে সামান্য, আরেকজনের টনটনে খাঁড়া। খাঁড়া স্তনের মেয়েটার চুল ভিজেছে, কাঁধে ফোঁটা ফোঁটা পানি!

দাঁড়িয়ে থাকাটা একদম নিরানন্দ মনে হচ্ছে না আর।

"বৃষ্টিতে আটকে গেছি!"- ম্যাসেজ এলো চৈতির।

"আমিও", জবাবে লিখলাম।

বৃষ্টি থামার নাম নেই। ফুটপাতের দোকানদারেরা মালামাল গুঁটিয়ে বড় দোকানগুলোর নিচে দাঁড়িয়ে। ভিজে একাকার। ফুটপাতে পানি জমবে কি? জমলে ওরা বিক্রি করবে কীভাবে?

হঠাত হুটোপুটির শব্দ কীসের- কয়েকজন লোক সমস্বরে চিৎকার করে উঠল- মেয়ে দুটোও সেদিকে তাকাল উদ্বিগ্ন চোখে-

"কুত্তার বাচ্চা! বাড়িতে বা বোন নেই- মেয়েদের দেখলেই বুকে হাত দেয়া?"

চড় থাপ্পড়ের আওয়াজ পেলাম যেন! আমার মতো যারা দেখতে পাচ্ছে না, উৎকর্ণ হয়ে শুনছে- হকারগুলোও আর চিতকার করছে না একশো একশো বলে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না, পা দুটোই চালিয়ে নিয়ে গেল যেন আমায়। কয়েকজনকে ঠেলে- "ধাক্কা দিচ্ছেন কেন"- সামনে এগুতেই দেখলাম দাড়িওয়ালা পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে।

ইরোটিক বড়গল্প সমগ্র (১৮+)Where stories live. Discover now