টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। বঙ্গোপসাগরে কী একটা ঘূর্ণিঝড় হানা দিয়েছে, তার প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে টানা দুদিন। দুদিন হল থেকে বেরুতে পারিনি। মিরপুর নাকি ভেনিস হয়ে গেছে। রাস্তায় নৌকাও নাকি নামানো হয়েছে। এদেশে যে আওয়ামীলীগের বিকল্প নেই, এই বর্ষায় তা হাড়ে হাড়ে টের পেল দেশবাসী।
আমি হৈমন্তীর কলেজের সামনে এসে দাঁড়ালাম। ঘড়িতে বাজে সাড়ে নয়টা। হৈমন্তীর গাড়ি ওকে রেখে গেছে। ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বেরিয়ে আসবে হৈমন্তী। তারপর ওকে নিয়ে হোটেলে যাব আমি।
ওকে হোটেলে যেতে রাজী করাতে বেগ পেতে হয়নি খুব একটা। হৈমন্তীকে যতটা নিষ্পাপ ভেবেছিলাম, ততোটা ও নয়। সেক্স পর্যন্ত না গেলেও, ওর যৌনাভিজ্ঞতা নেহাত কম নয়। ওর এক খালাতো ভাই, যে এখন ইউকেতে থাকে, ওকে একবার ফাঁকা বাসায় পেয়ে অলমোস্ট চুদে দিয়েছিল। পারেনি ওর মা হুট করে চলে এসেছিল বলে। ওর খালাতো ভাইয়ের নাম বোধহয় সবুজ। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই সবুজ বিয়ে করে বৌ নিয়ে যুক্তরাজ্যে চলে গিয়েছিলো বলে হৈমন্তীর অভিজ্ঞতা সেখানেই আটকে ছিল।
এসব আমাকে বলতে চায়নি ও। আমরা শুধুই বন্ধু, প্রেম করছি না ইত্যাদি অনেকভাবে বোঝানোর পর ওর মুখ থেকে এসব বের করেছি।
বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না। কয়েকমিনিট পরেই গুটিগুটি পায়ে কলেজের ড্রেস পরিহিতা হৈমন্তী আমার সামনে এসে দাঁড়াল।
রিক্সায় আমার পাশে জড়সড় হয়ে বসল হৈমন্তী। জিজ্ঞেস করলাম, "ভয় করছে?"
আমার মুখের দিকে বড়বড় চোখে তাকাল ও। বলল, "হুম!"
বৃষ্টির ছাট থেকে আমাদের রক্ষা করছে একটা নীল রঙ্গের পলিথিন। বেশ ভালোভাবে আমাদের ঢেকে রেখেছে পলিথিনটা। আমি হৈমন্তীকে জড়িয়ে ধরলাম রিক্সাতেই।
YOU ARE READING
ইরোটিক বড়গল্প সমগ্র (১৮+)
Romanceরগরগে সব মৌলিক উপন্যাসিকা ও ইরোটিকা থাকবে এখানে। সময় নিয়ে পড়তে অনুরোধ করছি। গল্পগুলো শুধুই প্রাপ্তমনস্কদের জন্য। এপর্যন্ত প্রকাশিত বড়গল্পগুলো (সম্পুর্ণ)- ছাত্রীর মায়ের ফটোসেশন (২য় পর্বে সমাপ্ত) নগদ যা পাই (ষষ্ঠ পর্বে সমাপ্ত) স্বাধীনতা (৩য় পর্বে সম...