ওয়েডিং ফটোগ্রাফার ৩

2.2K 10 0
                                    

ক্লাস করে ফিরে, ক্যান্টিনে খেয়ে এসাইনমেন্ট প্রিন্ট আউট করতে হলের ফটোকপির দোকানে গিয়েছি, হৈমন্তী ফোন দিয়ে শহীদ মিনারে যেতে বলল।

اوووه! هذه الصورة لا تتبع إرشادات المحتوى الخاصة بنا. لمتابعة النشر، يرجى إزالتها أو تحميل صورة أخرى.

ক্লাস করে ফিরে, ক্যান্টিনে খেয়ে এসাইনমেন্ট প্রিন্ট আউট করতে হলের ফটোকপির দোকানে গিয়েছি, হৈমন্তী ফোন দিয়ে শহীদ মিনারে যেতে বলল।

নববর্ষার "প্রখর রুদ্র" রোদ, প্রেমিকার অভিমান ভেঙ্গে যাওয়া সুখীসুখী মুখের মতো নির্মল নীল আকাশ মাথায় নিয়ে শহীদ মিনারে গেলাম। মাত্র ৭০ বছরের ব্যবধানে, সালাম বরকতের কথা ভুলে যাওয়া বাঙ্গালী জাতীয় শহীদ মিনারকে ডেটিং স্পটে পরিণত করেছে। শতশত ছেলেমেয়ে বসে আছে পাশাপাশি। কেউ বিড়ি ফুঁকছে, কেউ প্রেমিকার কাঁধে মাথা দিয়ে গল্প করছে, কয়েকটা উলঙ্গ ছেলে "ভাত খাব, ট্যাহা দেব" বলে হাত পাতছে পথচারীদের সামনে।

হৈমন্তীকে কোথাও দেখতে না পেয়ে ফোন বের করে তাকে কল দিয়েছি, হৈমন্তী সামনে এসে দুলতে দুলতে বলল, "কখন থেকে হাত নাড়ছি, আপনি আমাকে দেখলেনই না!"

আমি অবাক হয়ে হৈমন্তীর রোদে লালচে হয়ে যাওয়া মুখের দিকে তাকালাম। ওর নাকের ছোট স্বেদবিন্দু মুক্তোর মতো জ্বলছে রোদের ঝলকানিতে। কলেজের ড্রেসে ওকে চেনাই যাচ্ছে না। ওর টানটান করে বাঁধা চুল, দাগহীন লালচে মুখ আর উজ্জ্বল স্পষ্ট চোখ- যেন কোন হরিণশিশু ঘাস খেতে খেতে বাঘ আসার সংকেত পাওয়ায় চকিতে মুখ তুলে তাকিয়েছে, তাক করে আছে আমার দিকে।

বললাম, "তোমাকে চিনতেই পারছি না! সেদিন বিয়েবাড়িতে তোমাকে বড় মনে হচ্ছিল কিছুটা। এখন দেখছি, তুমি আসলেই পিচ্চি! তোমাকে আমি কোনভাবেই গাঁজা দেব না, যতই পার্সুয়েড করো তুমি!"

কপট রাগ করে হৈমন্তী বলল, "তাহলে এই রোদে আমাকে এতদূরে আনালেন কেন?"

আমি সে কথার জবাব না দিয়ে বললাম, "তোমাকে নিয়ে ক্যাম্পাসে যেতে চাইলাম। কোথাও বসতাম ছায়ায়। কিন্তু তুমি স্কুলড্রেস পরে এসেছো। কোন বন্ধু দেখলে, নিব্বির সাথে প্রেম করছি, রটিয়ে বেড়াবে!"

ইরোটিক বড়গল্প সমগ্র (১৮+)حيث تعيش القصص. اكتشف الآن