কাল রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে একটানা, ছাইমাখা মেঘের আড়ালে থাকা সূর্যের অস্পষ্ট ঘোলা আলোয়, সন্ধ্যা নেমেছে মাঝদুপুরেও। ক্লাস ক্যান্সেল করিয়েছে সিআর। সকাল থেকে শুয়ে বসেই আছি। এমন এক মেঘাক্রান্ত দিনেই- খুব বৃষ্টি হচ্ছিল সেদিন, প্রথম তৃপ্তিকে পেয়েছিলাম একদম নিজের করে।
সেদিন সকাল দশটা থেকে চারটা পর্যন্ত একটানা ক্লাস হওয়ার কথা ছিলো। দুইটা ক্লাসের পরেই, ক্যান্সেল হয়েছিল বাঁকি ক্লাসগুলো। তৃপ্তি বলেছিল, "আমার কাছে অনেক টাকা আছে। হোটেলে যাবে?"
চিপায়চাপায় সামান্য উষ্ণতা, রিক্সায় একটু টেপাটিপি, ফাঁকা হলরুমে একটুআধটু চুমুতে পোষাচ্ছিল না আমাদের। অন্ধকারে দেহের সাথে দেহ ঘষে আরো উদ্বাহু হয়ে উঠেছিলাম একটু নিরালা জায়গার জন্য। চুমু দেয়ার পর মনে হতো, "হলো না, কিছুই হলো না"!
টাকার জন্যেই আটকে ছিলো হোটেলে যাওয়া। ওর কথায় রাজী হতে দুসেকেন্ড সময়ও নেইনি তাই। রিক্সায় উঠে তৃপ্তি বলেছিল, "আমাকে কিন্তু সন্ধ্যার আগেই বাসা ফিরতে হবে!"
তাতেই সন্তুষ্ট ছিলাম আমি। লোকচক্ষুর আড়ালে কিংবা অন্ধকার গাছের সামান্য আবডালে শরীর ঘষে আগুন জ্বালানো আমার কাছে সেই নিরালা কয়েক ঘণ্টা ছিল দুর্ভিক্ষে খাদ্যের মতো কাঙ্ক্ষিত। সেদিন রিক্সায় উঠতেই টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হয়েছিল আর আমাদের বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে রিকশাওয়ালা দিয়েছিল একটা পলিথিন। আর কোন বৃষ্টিদিনে আমার হাত তৃপ্তির স্তনে চলে যেতে সামান্য অপেক্ষাও করত না। কিন্তু সেদিনও চুপচাপ বসে ছিলাম দুজনে। হোটেলে পৌঁছার আগে খুব বেশি কথা বলিনি আমরা। তৃপ্তি সামনের দিকে শূন্য চোখে তাকিয়ে ছিলো।
YOU ARE READING
ইরোটিক বড়গল্প সমগ্র (১৮+)
Romanceরগরগে সব মৌলিক উপন্যাসিকা ও ইরোটিকা থাকবে এখানে। সময় নিয়ে পড়তে অনুরোধ করছি। গল্পগুলো শুধুই প্রাপ্তমনস্কদের জন্য। এপর্যন্ত প্রকাশিত বড়গল্পগুলো (সম্পুর্ণ)- ছাত্রীর মায়ের ফটোসেশন (২য় পর্বে সমাপ্ত) নগদ যা পাই (ষষ্ঠ পর্বে সমাপ্ত) স্বাধীনতা (৩য় পর্বে সম...