পরদিন সকালে উঠেই ফোন দিলাম ফারজানাকে। আমাকে সাড়ে এগারোটায় ওর বাসায় পৌঁছতে বললেন। নেহা বেরিয়ে যায় তখনই, কারণ ওর বারোটায় ক্লাস।
আমি ঠিক সাড়ে এগারোটায় কলিং বেল টিপলাম। হাতে আমার নিকন ক্যামেরা উইথ এক্সটেন্ডেড লেন্স।
ফারজানা এসে দরজা খুলে দিলেন। আমি ঘরে ঢুকেই শ্যাম্পুর গন্ধ পেলাম। ফারজানা কেবল গোসল করে বেরিয়েছেন। চুল ভেজা।
দরজা লাগিয়েই বললাম, "গতকাল আমি যাওয়ার পর সুলেমান সাহেব এসেছিলেন নাকি?"
আমি আজ হার্টহিটার। শুরু থেকেই বোল্ড খেলব। একা বাড়িতে একজন বিবাহিতা আমাকে ডেকেছেন, এর সুযোগ নিতে হবে না? আর ফারজানার মনেও কি ব্যাপারটা একবার ঘুরে যায়নি? কচি খুকি তো নন!
বললেন, আমার দিকে তাকিয়ে, বেশ সিরিয়াস ভাবে, "কেন বলতো?"
বললাম, স্বভাবসুলভ হেসে, "না আপনি এত আগেই গোসল করে ফেললেন!"
ফারজানা কপট দুখী মুখ করে বললেন, "সে সুখ কী আর আছে! পরশুই এসে গেল। এ মাসেই আর আসবে না!"
আমি এবার আরও সাহসী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "আচ্ছা, নেহা তো পাশের রুমে থাকে! দরজাও নেই। শুনতে পায় না শব্দ?"
আমি প্রশ্নটা করে, বসলাম ফারজানার খাটে। আজ নেহার রুমে না থেমে সরাসরি ওর রুমে চলে এসেছি। ফারজানাও বসলেন আমার পাশে। আমি কীসের শব্দের কথা বলছি, সেটা তিনি নির্ঘাত বুঝে ফেলেছে। অন্তত কাল রাতের ঘটনার পর এ নিয়ে আর সন্দেহ নেই!
বললেন, "মুখ চিপে করার চেষ্টা করি। আর নেহাও বড় হয়েছে। জানে আমাদের একটা ফিজিক্যাল নিড আছে, তাই না?"
বললাম, "হ্যাঁ, তাই!"
বেশি কথা আর না বাড়িয়ে তাকে ফটোসেশন শুরু করতে বললাম। বললাম, "আমি সিগারেট নিয়েই এসেছি। আপনি বিছানায় হেলান দিয়ে সিগারেট হাতে পোজ দিন! আমি ছবি তুলে দিচ্ছি!"
বললেন, "তুমি ঐ ঘরে গিয়ে বসো। আমি শাড়িটা চেঞ্জ করে ফেলি চটপট!"
আমি নেহার রুমে এসে বসলাম। এমন জায়গায় বসলাম, যেখান থেকে ফারজানার রুমটার পুরোটা দেখা যায়, ইচ্ছে করেই। ফারজানা পর্দাটা টেনে দিয়ে গেলেন। ভেবেছিলাম, ফারজানা বাথরুমে গিয়ে শাড়ি পরিবর্তন করবেন। কিন্তু তিনি পর্দার ওপাশেই তা শুরু করে দিলেন।
YOU ARE READING
ইরোটিক বড়গল্প সমগ্র (১৮+)
Romanceরগরগে সব মৌলিক উপন্যাসিকা ও ইরোটিকা থাকবে এখানে। সময় নিয়ে পড়তে অনুরোধ করছি। গল্পগুলো শুধুই প্রাপ্তমনস্কদের জন্য। এপর্যন্ত প্রকাশিত বড়গল্পগুলো (সম্পুর্ণ)- ছাত্রীর মায়ের ফটোসেশন (২য় পর্বে সমাপ্ত) নগদ যা পাই (ষষ্ঠ পর্বে সমাপ্ত) স্বাধীনতা (৩য় পর্বে সম...