একটি সভ্য শিক্ষিত বেড়াল ৭

2K 8 2
                                    

        কামার্ত শালিকের শীৎকার
পৃথিবীটা রাবীন্দ্রিক নয় আর, কালের ধুলোর ঘষা খেয়ে ‘রসময়’ হয়ে গেছে।
বিশাল একটা চাঁদ ওঠে আকাশে- কুয়াশার মতো আবছা জোছনা আমাদের ছাদে, আমাদের দেহে। কয়েকটা হেলিকাপ্টার পাছায় লাল-নীল আলো জ্বালিয়ে উড়ছে, যেন জোনাকি। হেলিকাপ্টারে হেলিকাপ্টারে সংঘর্ষ হয় না এদেশে? বাসট্রাকের মতো? কোনদিন শুনিনা কেন? ছাদের দরজার কাছে আদ্যিকালের ৩০ পাওয়ারি বাল্ব- কী এক ধরণের পোকা আলোয় লাফাচ্ছে একটানা- আলোটাকে দেখাচ্ছে ঝাপসা।
আমি ছাদের ফ্লোরে শুয়ে হাফাই, সত্তুর বছরের বুড়ো যেভাবে একটানা কাশলে বড়বড় শ্বাস নেয় শব্দ করে। বালু কিচকিচ করে পিঠে- পিঁপড়ের প্রথম হুলের মতো।
চাঁদটা হাসে।
“এতক্ষণ কোথায় ছিলে, চাঁদ, যখন রুপ্তির দুধ দেখতে চেয়েছিলাম?”
ঝিনুকের মতো যোনির কথা বলে আবুল হাসান মৃত্যুবরণ করেছিলেন। কিশোরীর কামরাঙা কেড়ে দাঁত বসিয়েছেন-লিখতে পারতেন আত্মজীবনীতে। প্রিয় আবুল হাসান, আমি ঝিনুকের মতো যোনি খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে হাফাচ্ছি, কবে দেখা পাব? 
রুপ্তি চুপচাপ বসে আছে পাশে, হাঁটুতে মাথা রেখে। শেষ চিৎকারের পর আর কিছু উচ্চারণ করেনি ও। চুপচাপ লেগিংসটা পরে নিয়েছে, জামাটা করেছে ঠিকঠিক। রুপ্তির মুখটা দেখতে পাচ্ছি কিছুটা, চেহারা পড়ার উপায় নেই। সাদা জোছনায় ঘষা কাচের বিপরীতে দেখা পৃথিবীর মতো মনে হয় মুখটা।
বলি, “কী ভাবছো, রুপ্তি?”
চমকে ওঠে যেন ও। হতচকিয়ে গিয়ে মাথা তোলে হাঁটু থেকে, আমার দিকে তাকায়। বলে, “কী বললেন?”
আমি উঠে বসি, পিঠ থেকে বালু ঝেড়ে বলি, “কী ভাবছো তুমি?”
“কিছু না!”, নদীর ওপার থেকে জবাব দেয় রুপ্তি, শব্দ দুটো যেন নদীর স্রোতে ভাসে, হাওয়ায় দোলে।
কাছে যাই ওর। কাঁধে হাত রাখি- ওর ঘাড়ের ঘাম শুকিয়েছে, বলি, “খারাপ লেগেছে তোমার?”
অনন্তকাল উত্তর দেয় না রুপ্তি। ও যেন ভুলে যায় আমার প্রশ্নটা। এবং আমার উপস্থিতি। তারপর ঘোরলাগা মুখ- চুল নেমে আসে কপালে, রুপ্তি বলে, “কী করলাম এটা!”
শীতঘুম থেকে সদ্য জাগা সাপ যেন পূর্ব-গ্রীষ্মের ভুলের কথা স্মরণ করে চমকে ওঠে। কুঁকড়ে যায়। উসখুস করতে থাকে। ওর সংশয় মুদ্রিত হচ্ছে প্রতি নিশ্বাসে। আস্তে আস্তে শ্বাস নেয় রুপ্তি, প্রায় শব্দ না করে, যেন ওর নিঃশ্বাসের শব্দে সচকিত হয়ে উঠবে পৃথিবী। দুতিনটে চুল গালে দুলতে থাকে। চুলদুটো গুঁজে দেই কানে।
আরো কাছে টেনে নেই ওকে। ওর পিঠের নরম মাংস আমার বাহুতে চেপ্টে বসে।
রুপ্তি বলে, “ফাহিমের কথা ভাবছি। ও বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাড়িতে। আর এদিকে আমি, আপনার সাথে...”
কথাটা সম্পুর্ণ করে না ও। আমিও বলি না কিছু। ঋদ্ধের মুখটা ভেসে ওঠে মনে- ওর ঝাঁকড়া চুল, উদ্ধত চাহনি আর স্বর। বলেছিল, মানুষ কখনো মনোগ্যামাস হতে পারে না, মনোগ্যামি এলিটদের দ্বারা সৃষ্ট ও কল্পিত রোম্যান্টিসিজম। শারীরিক কামনা বাঁধা মানে না কিছুরই।
আজ রুপ্তি বাঁধা দেয়নি কিংবা দিতে পারেনি। আজ যদি রুপ্তি বাঁধা দিত, তাহলে কি কামনাকে অবদমিত করত না ও? ভালোবাসা মানে কি সত্যিই কামনাকে অবদমিত করা?
আমি ওকে জিজ্ঞেস করি, “ফাহিমকে তুমি ভালোবাসো, রুপ্তি?”
রুপ্তি সাথেসাথেই জবাব দেয় না প্রশ্নটার, ভাবে- যেন উত্তর মনে পড়ছে না ওর, জানা ছিল একদিন, জানত। বলে, “ফাহিমের সাথে কোনদিন বিয়ে দেবে না বাবা!”
এ উত্তর চাইনি আমি। রুপ্তির ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেই, সাড়া দেয় না ও। ওর ঠোঁটদুটোকে শুধুই মাংস মনে হয় আমার। কাঁচা, ঠাণ্ডা। ঠোঁটটা সরিয়ে নেই।
চাঁদের ফ্যাঁকাসে দুধেল আলো চাতালের ধানের মতো বিছানো। দূরে কোথাও বিয়ে হচ্ছে বোধহয়, হিন্দি গান বাজছে, ঢিকঢিক শব্দটা শুধু কানে এসে লাগছে। সমানতালে।
“তোমার মা জানে তুমি এখানে আছো?”
রুপ্তি বলে, “বলিনি ছাদে আসব। জানে, ধানমন্ডিতে বান্ধবীর বাড়িতে গেছি!”
“ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন”- কথাটা কার? মার্ক টোয়েন? যদি কোন গল্পে পড়তাম কেউ বাড়িওয়ালার মেয়েকে ছাদে দাঁড়িয়ে চুদছে- করতাম বিশ্বাস?
বাড়াটা মোছার জায়গা পাইনি, রুপ্তির ভোদার রস শুকিয়ে গেছে হাওয়ায়। চেনটা খুলে বাড়াটা বের করে রাখি।
রুপ্তি একও দৃষ্টে ছাদের রেলিং এর দিকে তাকিয়ে- বলে- “ফাহিম যদি জানে-“
“আবার করবে-“
দুজনে প্রায় একসাথে বলি কথা। রুপ্তি চুপ করে যায়। বলি, “আরেকবার করি? তোমাকে কি এখনি ফিরতে হবে?”
রুপ্তি জবাব দেয় না। নীরবতা চেপে ধরে আমাদের। কতক্ষণ এভাবে চুপচাপ থাকি, জানি না। তারপর আমি এগিয়ে যাই ওর দিকে। ইতস্তত হাত রাখি ঊরুতে- চমকে ওঠে রুপ্তি। তাকায় বিভ্রান্ত চাহনিতে। মুখের কাছে মুখ নিয়ে যাই ওর, ওর নিঃশ্বাসের উষ্ণতা আমার ঠোঁটে এসে লাগে, মুখে ঝাপটা মারে। নিমীলিত চোখে নিঃশব্দে নিঃশ্বাস নেয় ও, যেন ওর নিঃশ্বাসের শব্দে সচকিত হবে পৃথিবী। ঠোঁটটা লাগিয়ে দেই ঠোঁটে।
স্তনে হাত দেই আবার। জামার উপর দিয়েই। নরম স্তনদুটো মর্দন করতে থাকি ভালোমতো। স্তনের নরম চর্বি গলতে থাকে যেন, চাপতে থাকি ইচ্ছে মতো। এতজোরে চাপিনি কারো স্তন কোনদিন।
“লাগছে!”
কচলানো থামাই। ওকে শুইয়ে দিতে চাইলে প্রতিবাদ করে বলে, “ধুলাবালি তো!”
“গোসল করবে না বাড়িতে গিয়ে?”
সন্দেহপূর্ণ চোখে ও একবার ছাদের ফ্লোরের দিকে তাকায়। তারপর হাত দিয়ে অদৃশ্য বালু ঝেড়ে নিজেই শুয়ে পড়ে। লেগিংসটা পুরো খুলে ফেলি একটানে। 
মাছের আঁশের মতো চকচক করে ওর ঊরু। বৃষ্টির মতো জোছনা পিছলে যায় ঊরুতে। খামচে ধরি ওর ঊরু। আমার “নগ্ন নির্জন হাত” ওর ঊরু থেকে বালেঢাকা যোনি পর্যন্ত যাতায়াত করে। নরম মাংস পিছলে পিছলে যায়, গলে পড়ে আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে। আমি জিহ্বা লাগিয়ে দেই কুঁচকির সামান্য উপরে; ঊরু যেখানে পাছার গোলে বিলীন হয়েছে, চেটে দেই সে পর্যন্ত, আমার লালায় ভিজে যায় ওর ঊরু। রুপ্তি আমার মাথায় হাত বোলাতে থাকে।
রুপ্তির যোনি কি ঝিনুকের মতো, আবুল হাসান? বহুদিন কোন নারীর ভোদা দেখিনি আমি।
শ্রোণির কাছে মুখটা নিয়ে যেতেই ভক করে কড়া গন্ধ নাকে এসে ঢোকে। বাংলার কথা মনে পড়ে যায়- দুর্গন্ধ বাংলার ধারে কাছে যেতে পারে ওয়াইন?
আমি ওর বালের নোনতায় নাক ঘষি, গন্ধ নেই। যোনিটা ফাঁক করি দু আঙ্গুল দিয়ে। কাঁতরে ওঠে রুপ্তি- “উফফফ!”
দেখতে পাইনা কিছু- তীব্র আলোতে রুপ্তি ভোদা ফাঁক করলে হয়তো দেখতাম একটা ঝিনুক পরে আছে। কিংবা একটা শামুক। অন্ধকার আমি শুধু ওর ক্লিটের আদ্রতা বুঝতে পারি। ভেজা নরম ক্লিটটা জালে ওঠা চ্যাং’এর মতো লাফায়, তিরতির করে। ডান হাতের তর্জনি চালাতে শুরু করি আমি। আমার হাতটা ভিজতে শুরু করে। হাতটা যেন ব্লটিং পেপার। ওর ভোদা থেকে রস টেনে বের করছে।
“আহহহহ...”
ওর মাছের আঁশের মতো ঊরুতে ঠোঁট লাগাই। কামড়ে দিতে ইচ্ছে করে।
“উম্মম্ম...আরো জোরে... আরো জোরে...”
দুপা দিয়ে মাথাটা ঘিরে ধরতে চায় ও। ডান হাত দিয়ে ভোদা ফাঁক করে দুটো আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেই থপ করে।

“আঃ! লাগছে...
আমার হাতটা সরিয়ে দেয় রুপ্তি। বলি, “কী হলো?”
“উফ...আর পারছি না। ঢুকান। ঢুকান প্লিজ!”
রুপ্তি নিজেই আমার প্যান্টের বেল্ট খুলতে চেষ্টা করে- সাহায্য করি না আমি। কয়েকবার অসফল হলে বিরক্ত হয়ে বলে, “ধুত্তরি! তাড়াতাড়ি খুলতে পারছেন না?”
“ফাহিম নাকি বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে?”, বলতে ইচ্ছে করে আমার!
আমি বেল্ট খুলে প্যান্টটা ছুঁড়ে দেই। রুপ্তি হামলে পড়ে আমার উপর। কচলাতে থাকে আমার বাড়া। ঠেলে শুইয়ে দেই ওকে।
রুপ্তির শরীর আরোহণ করি। পুরো শরীরের ভর দেই ওর দেহে। পা দুইটা কাঁধে নিয়ে ঠাটানো বাড়াটা লাগিয়ে দেই ওর ভোদায়, একটু চাপ দিতেই বাড়াটা পচ করে ডুবে যায় ভোদার অগভীরে।
“আউউউ!”, চিতকার করে ওঠে রুপ্তি!
“আস্তে কেউ শুনবে!”, বলি আমি।
রুপ্তি বলে, “শুনুক! আপনি করেন!”
জামার ভেতর দিয়ে হাত ঢুকিয়ে স্তন চিপে ধরে কড়া ঠাপ দেই আমি। উপর্যুপরি।
কেন জানি না বলে ফেলি, “তোমার ফাহিম এভাবে ঠাপাতে পারে? হ্যাঁ? পারে এভাবে ঠাপাতে?”
রেসপন্স পাবো ভাবিনি, রুপ্তি বলে, রুদ্ধ স্বরে, “তুই ঠাপা কুত্তার বাচ্চা! চোদ আমাকে! ফাহিমকে আনিস কেন?”
বাড়াটা গেঁথে দেই এক্কেবারে। বলি, যেন ঝগড়া করছি ওর সাথে, “বলিস না কেন? হ্যাঁ? পারে না এভাবে চুদতে?”
“উফফফ... চুদ তুই... চুদ! কথা না বলে, চুদ, পার্ভার্ট!”
খামচে ধরি ওর দুধ!
“আঃ! সাউয়াচুদি চুদতে পারিস না? খামচাস কেন?”
নির্ঘাত দাগ বসে গেছে নখের, গোসলের সময় টেরটা পাবে! আমি যেন প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করছি, মল্লযুদ্ধে নেমেছি কোন, গ্যালারি থেকে চিতকার করছে অযুত দর্শক- আমি স্পার্টাকাস! রুপ্তির ভোদায় তরবারী চালাই আমি। ক্যোঁৎ করে ওঠে রুপ্তি।
বলি, “চুদতে পারছি কিনা দেখতে পারছিস না? চোদা খাওয়ার পর হাঁটতে পারবি মনে করছিস?”
রুপ্তি খ্যানখ্যান করে বলে, “চুদ সাউয়ার বাচ্চা, তোর কতো শক্তি দেখি! কত্ত পাওয়ার চ্যাডের তোর!”
“আমার চোদা খাওয়ার পর তোর ভাল্লাগবে? তোর ফাহিম পারবে আমার মতো ফেলে চুদতে?”
ফাহিমের কথা বলে ওকে অপরাধবোধে ভুগিয়ে আমার পৈশাচিক আনন্দ হয়। যেন মনোগ্যামির বৈধ সুপ্রাচীন দেয়াল ভাঙছি, আমার প্রতিটা ঠাপে ভেঙ্গে পড়ছে তার একেকটা ইট।
রুপ্তি আমার পিঠ খামচে ধরে। ওর নখে আমার চামড়া কাটার শব্দ শুনি যেন।
রুপ্তি আমার ঠোঁট কামড় দিয়ে বলে, “মাদারির বাচ্চা, ও না পারলে ওর বাপকে দিয়ে চোদাব। তোর তাতে কী?”
রুপ্তির দুই পা আমার কোমড় জড়িয়ে ধরে। বলে, “চুদ...চুদ... চুদ... উফফফফ!”
বাক্যবাণ চলতেই থাকে। ঘেমে যাই আমি। ঘেমে যায় রুপ্তির শরীরও। ওর ঘামের গন্ধ এসে লাগে নাকে, আমি ওর ঘামে ভেজা শরীরে হাত বুলিয়ে দেই। খামচে ধরি, নখ বসাই।
একসময় থামে লড়াই। পরাজিত সৈনিকের মতো শুয়ে পড়ি ছাদে পিঠ দিয়ে- আকাশে একটাই তারা আজ। রুপ্তি হাফায়, নিঃশ্বাস নিতে থাকে জোরে।
কতক্ষণ পর- বোধহয় রাতটাই পেরিয়ে যায়- ওঠে রুপ্তি। ছুঁড়ে ফেলে দেয়া লেগিংসটা পরে আস্তে আস্তে হাঁটতে থাকে দরজার দিকে, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। আমি ওকে আটকাই না- একবার পিছনে ফিরেও তাকায় না ও।
(চলবে)

ইরোটিক বড়গল্প সমগ্র (১৮+)Where stories live. Discover now