নগদ যা পাই (শেষপর্ব)

3.1K 17 13
                                    

ওদের রুম থেকে বেরিয়ে আমাদের রুমে এলাম। কেবল সাড়ে নয়টা বাজে। প্রজ্ঞা বলল, "চলো বাইরে যাই। যাবে?"

Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.

ওদের রুম থেকে বেরিয়ে আমাদের রুমে এলাম। কেবল সাড়ে নয়টা বাজে। প্রজ্ঞা বলল, "চলো বাইরে যাই। যাবে?"

বললাম, "যাওয়া কি ঠিক হবে? সাড়ে ন'টা বাজছে। সিকিউরিটি?"

প্রজ্ঞা পাত্তা দিল না আমার কথা। বলল, "টুরিস্ট স্পট- সিকিউরিটি খারাপ থাকবে কেন?"

আমরা বেরিয়ে পড়লাম। বাতাসটা খুব বেশি। মনে হচ্ছে হাড়ে হাড়ে ঢুকে যাচ্ছে। রাস্তায় লোকজনের কমতি নেই, দোকানগুলো বন্ধ হয়নি এখনো। আমরা আবার সমদ্রতীরে এসে পৌঁছলুম। প্রজ্ঞাকে জিজ্ঞেস করলাম, "ঠাণ্ডা লাগছে না তোমার? আমি তো কাঁপছি!"

প্রজ্ঞা বলল, "চাঁদ উঠেছে দেখেছো?"

একটা বিশাল চাঁদ ডিমের কুসুমের মতো রক্তিম হয়ে আকাশ বেঁয়ে উঠছে। বললাম, "চাঁদ দেখব এই ঠাণ্ডায়?"

সাগরতীরে আগুন জ্বালিয়ে গোল হয়ে বসেছে কিছুলোক। সেদিকে বিদ্যুৎ বাতির আলো নেই। আমরা সেদিকেই এগিয়ে গেলাম। প্রজ্ঞা সেই জমায়েত থেকে সামান্য দূরে বালির মধ্যে বসে পড়ল!

"আরে করছো কী? ঠাণ্ডা না?"

প্রজ্ঞা বলল, "একটা শোলার উপর বসেছি!"

আমি প্রজ্ঞার হাত ধরে তুলে নিলাম ওকে আর বসলাম নিজেই সেই শোলায়। প্রজ্ঞাকে বসালাম আমার কোলে। প্রজ্ঞা আমার কোলে বসে বলল, "এখন ঠাণ্ডা লাগছে না!"

প্রজ্ঞার জ্যাকেটটা উলের, ভালোভাবে জড়িয়ে ধরলাম ওকে। প্রজ্ঞার গালে মুখ রেখে জিজ্ঞেস করলাম, "কোনদিন ভেবেছিলে আমার কালো বসে সমুদ্রের আকাশে চাঁদ দেখবে?"

প্রজ্ঞা আমার দিকে মুখ ফেরালো। আমার ঠোঁটে একটা চুমু দিয়ে বলল, "জীবন খুব অনিশ্চিত, তাই না? তাই জীবন এতো সুন্দর!"

ইরোটিক বড়গল্প সমগ্র (১৮+)Where stories live. Discover now