অপরাজিতার মতো নীল হয়ে- আরো নীল- আরো নীল হয়ে
প্রথম বর্ষে গ্রন্থাগারে এসে পড়ার মতো জায়গা পাইনি। লাইব্রেরির ভেতর কয়েক লাখ বই, অথচ সেসব বই দেখে, বেছে পড়ার অধিকার ছাত্রদের নেই, সে অধিকার শিক্ষকদের।
লাইব্রেরীতে বসে সবাই বিসিএসের বই পড়ছে দেখে নাক উল্টোতাম তখন। লাইব্রেরী কি গাইড পড়ার জায়গা? জাতীয় গ্রন্থাগারের অবস্থাও তাই!
এখন নিজেই সাতটায় ঘুম থেকে উঠে, হাঁটতে হাঁটতে মুখে একটা পাউরুটি গুঁজে লাইব্রেরীতে দৌড়াই। লাইব্রেরীর দরজা খোলার আগেই লাইনে দাঁড়াতে হয়, নইলে বসার জায়গা পাওয়া যায় না। তারপর একটানা অমানবিক ব্যাকরণ, সাধারণ জ্ঞান আর গণিত। হলের ছেলেরা পড়ার জায়গা পায় না, ওরা আসেও আগে।
রাষ্ট্র চায় চাকর আর বিশ্ববিদ্যালয় চাকর সাপ্লাই'এর টেন্ডার নিয়েছে।দুপুরে ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ায় খেয়ে সিগারেট জ্বালিয়েছি একটা, রুপ্তিকে দেখলাম। বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারছে। চোখাচোখি হলো। সেদিনের পর আজই দেখলাম প্রথম। ভেবেছিলাম, চোখ সরিয়ে আড্ডায় মন দেবে। কিন্তু আমার দিকে এগিয়ে এলো ও।
রুপ্তির খুলে দেয়া চুল রোদের তেজে সোনালী- লাল ভাব। লাল ওড়নাটা অকালের শিমূলের মতো, চটা রঙ।
বলল, "সরি। সেদিন আপনাকে অনেক রুড কথা শুনিয়েছি!"
ধোঁয়া ছাড়লাম। "আজ দেখা না হলে সরিটা বলতেন?"
লজ্জা পেল রুপ্তি। চোখ নামিয়ে মৃদু হেসে বলল, "আপনার ফোন নাম্বার আমার কাছে ছিল না। ভেবেছিলাম বাড়ির সিঁড়িতে দেখা হয়ে যাবে। আপনাকে এত খুঁজেছি, পাইনি!"
"খুঁজেছেন আমাকে?"
"হ্যাঁ। মানে সরি বলার জন্য!", হেসে বলে রুপ্তি।
ইচ্ছে করে বলতে, "আরেকবার খারাপ আচরণ করে আমাকে খোঁজ তুমি, রুপ্তি। বহুদিন আমাকে কেউ খোঁজে না!"
ছাত্রলীগের একটা মিছিল আসছে। আমরা রাস্তা ছেড়ে দিলাম। প্রধানমন্ত্রী কোন পুরুষ্কার টুরষ্কার পেল নাকি? ছাত্রলীগের একটাই তো কাজ- আনন্দমিছিল!
YOU ARE READING
ইরোটিক বড়গল্প সমগ্র (১৮+)
Romanceরগরগে সব মৌলিক উপন্যাসিকা ও ইরোটিকা থাকবে এখানে। সময় নিয়ে পড়তে অনুরোধ করছি। গল্পগুলো শুধুই প্রাপ্তমনস্কদের জন্য। এপর্যন্ত প্রকাশিত বড়গল্পগুলো (সম্পুর্ণ)- ছাত্রীর মায়ের ফটোসেশন (২য় পর্বে সমাপ্ত) নগদ যা পাই (ষষ্ঠ পর্বে সমাপ্ত) স্বাধীনতা (৩য় পর্বে সম...