নয়
নোরার নিজের ভাগ্যকে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছে না । একটু আগেও পরিস্থিতি অন্য রকম ছিল অথচ এখন পরিস্থিতি একেবারেই অন্য রকম হয়ে গেছে । নোরা আর অরিন এখন হাতিরঝিল থানার একটা বেঞ্চে বসে আছে । ওদের ড্রাইভার মনজুকে হাজতে ভরে রাখা হয়েছে । কি থেকে কি হয়ে গেল নোরার কাছে এখনও কেমন যেন স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে । ঠিক স্বপ্নের মত না, দুঃস্বপ্নের মত !
ক্যাম্পাস থেকে ওদের দুজন কে তুলে নিয়ে গাড়িটা চলছিলো বেশ ভাল ভাবেই । অরিন কিছু সময় গাড়ির ছাঁদ খুলে মাথা বের করে দিয়েছিলো । তারপর কিছু সময় চিৎকার চেঁচামিচি করে আবারও গাড়ির ভেতরে এসে বসলো । তারপর ড্রাইভারের দিকে তাকিয়ে বলল, আপনার নাম কি ড্রাইভার সাহেব ?
ড্রাইভার বলল, জি আফা মনজু !
-মনজু সাহেব এই গাড়ির স্পিড লিমিট কত ?
-গাড়ি ভাল আছে আফা । একেবারে মাখন ! আর এখন চালাইলে মনে হইবে গাড়ি উড়তাছে !
-ওকে ওড়ান দেখি আপনার গাড়ি !
-আইচ্ছা আফা !
নোরা কিছু বলতে যাচ্ছিলো তবে অরিনের আগ্রহ দেখে আর কিছু বলল না । ঢাকা শহরের গাড়ির গতি ২০ কিলোমিটারের উপরে ওঠানোর দায় ! সেখানে দেখতে দেখতে গাড়ির গতি বেড়ে দাড়ালো একশতে । গাড়িটা যেন সত্যিই আকাশে উড়ছিলো । নোরার খারাপ লাগছিলো না । কিন্তু ঝামেলা বাঁধতেও দেরি লাগলো না । হঠাৎই একটা পুলিশের সাইরেন শোনা গেল পেছন থেকে । হয়তো ঝামেলা তখনও এড়ানো যেত যদি তখনই গাড়িটা থামানো হত । অরিনের মাথায় কি কাজ করলো কে জানে সে ড্রাইভারকে বলল যে আরও জোরে চালাতে । পুলিশের গাড়ির স্পিড বেশি না । ওদেরকে ধরতে পারবে না ।
কিন্তু ওদের ধারনায় ভুল ছিল । পুলিশের গাড়ি দেখতে যেমনই হোক গতির দিক দিয়ে তারা কম নয় । আধা ঘন্টা রেস খেলার পর ওদের গাড়িটাকে ধরে ফেলল । ওদের কোন কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সোজা থানায় নিয়ে এল । সেখানে আধা ঘন্টা ধরে বসে আছে ওরা । মেয়ে বলেই হয়তো ওদের হাজতে ঢোকানো হয় নি । একটা বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছে ।
YOU ARE READING
বড় গল্প সমূহ
Romanceআমার বেশির ভাগ গল্প ছোট ছোট । তবে মাঝে মাঝে কিছু বড় বড় গল্প লিখেছি । সেই গল্প গুলোই এই বইতে এক পর্বে কিংবা কয়েক পর্বে পোস্ট করবো ! সব গুলো বড় গল্প আস্তে আস্তে এখানে এসে জমা হবে । পড়ার আমন্ত্রন রইলো ।