পাঁচ
রাবেয়া যখন কমলাপুর স্টেশনে নামলো তখন সকাল হয়ে গেছে । ট্রেন থেকে নেমে তিনি তার ছেলেকে ফোন দিতে যাবেন তখনই মেয়েটাকে দেখতে পেলেন । তার সামনে এসে হাসি মুখে দাড়ালো । তারপর পায়ে হাত দিয়ে সালাম করলো ।
প্রথমে একটু চমকে গেলেও মেয়েটাকে তিনি চিনে ফেললেন তারপরই । এটাই তার ছোট ছেলের বউ । এর আগে মেয়েটাকে সে সরাসরি দেখে নি । ভিডিও কলে দেখেছে কয়েকবার । এই প্রথম তাদের দেখা হচ্ছে । তবে মেয়েটা ঠিকই তাকে চিনে ফেলেছে ।
রাবেয়া বলল, বেঁচে থাকো ! অপু কোথায় ?
তারপর এদিক ওদিক তাকিয়ে ছেলেকে খোজার চেষ্টা করলেন ।
মীরা একটু হেসে বলল বলল, আপনার ছেলে আসে নি । আপনি জানেন না সে সকালের ঘুম কত পছন্দ করে !
রাবেয়া খানিকটা মুখ শুকনো করে বলল, হ্যা জানি । তার ঘুমের কাছে সব কুরবান ।
তারপর মীরার দিকে তাকালো ভাল করে ।
মীরার ব্যাপারে তার আপত্তি ছিল । অপু যখন ফোনে বলেছিলো মীরার কথা তখন তিনি খানিকটা মনক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন । মেয়েটার বাবা মা কেউ বেঁচে নেই । থাকার ভেতরে কেবল এক ছোট বোন আছে । এমন একটা মেয়ের সাথে বিয়ে দিলে তার ছেলে কোন দিন শ্বশুর বাড়ির আদর পাবে না, এই কথাই তার মনে হয়েছিলো । তবে এই কথা তিনি বলতে পারেন নি ।
অপু এমনিতেই বিয়ে করতে চাইছিলো না । ওর বয়সও হয়ে যাচ্ছিলো । ওর পরিচিত সবাই বিয়ে করে ঘর সংসার শুরু করে দিয়েছে সেই কবে । সবারই প্রায়ই ছেলে মেয়ে আছে । কেবল অপু এখনও বিয়ে করে নি । রাবেয়ার কানে তো এই কথাও আসছিলো যে অপুর মাঝে নিশ্চয়ই কোন সমস্যা আছে । নয়তো ছেলে বিয়ে কেন করবে না । তাই তিনি সাহস করে আর কিছু বলতে পারেন নি । ছেলে বিয়ে তো করুক । নয়তো দেখা যাবে আবারও বেঁকে বসছে আর বিয়েই করছে না ।
তবে সামনা সামনি মীরাকে দেখে রায়ের মন ভাল হয়ে গেল । চেহারার মাঝে একটা অন্য রকম সিগ্ধতা আর সারল্য আছে । মীরা নাকি অপুর ক্লাসমেট ছিল । একই সাথে পড়া শুনা করতো । তবে দেখে তেমনটা মনে হচ্ছে না ।
ESTÁ A LER
বড় গল্প সমূহ
Romanceআমার বেশির ভাগ গল্প ছোট ছোট । তবে মাঝে মাঝে কিছু বড় বড় গল্প লিখেছি । সেই গল্প গুলোই এই বইতে এক পর্বে কিংবা কয়েক পর্বে পোস্ট করবো ! সব গুলো বড় গল্প আস্তে আস্তে এখানে এসে জমা হবে । পড়ার আমন্ত্রন রইলো ।