এগারো
নোরা বাবার হাত থেকে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বলল, বাবা আমি জানি এ কথা !
পুরো করিডোরে যেন একটা বোমা পড়লো । আতিকুল ইসলাম তো অবাক হলেনই, আদনান সোবাহান চৌধুরী দুইজনই তীব্র বিস্ময় নিয়ে তাকালো নোরার দিকে । নোরা কয়েকটা নিশ্চুপ মুহুর্ত তাকিয়ে রইলো আদনানের দিকে । তারপর তার বাবার দিকে তাকিয়ে বলল, বাবা ও আমাকে আগেই সব কিছু বলেছে । আমি জানি !
-তুই জানিস ? আর আমাকে বলিস নি ?
-এটা এমন কিছু বলার কথা নয় ! আমি মানুষকে বলে বেড়াবো শুনো শুনো আমার স্বামীর না আগে একটা বিয়ে হয়েছিলো সবাই শুনো !
আতিকুল ইসলাম মেয়ের দিকে খানিকটা অবাক চোখে তাকালেন । তার মনে হল নোরা কেমন যে অস্বাভাবিক আচরন করছে । নোরা কখনই তার সাথে এমন স্বরে কথা বলে না ।
আতিকুল ইসলাম বললেন, তাই বলে আমি জানবো না ?
-এখন জানলে তো ! এতো রিএক্ট করার কি আছে ! দেখে নেবো জেলের ভাত খাওয়াবো এসবের মানে কি ! আমাকে বিয়ে করেছে আমাকে জানিয়েছে । ব্যাস ! আর ওকে তোমাদের জানাতে মানা করেছি !
আতিকুল ইসলাম আর কিছু বলার সুসোগ পেলেন না । সোবাহান চৌধুরী আতিকুল ইসলামের কাধে হাত রেখে বললেন, আমরা মানছি যে আমাদের অন্যায় হয়েছে । আপনি বরং আমার সাথে আসুন প্লিজ ! মাথা গরম করে কি কোন সমাধান হয় ! মাথা ঠান্ডা করে একটু চিন্তা ভাবনা করা যাক !
আতিকুল ইসলাম আরও কিছু সময় দাড়িয়ে রইলেন । তারপর সোবাহান চৌধুরীর সাথে বের হয়ে গেলেন হাসপাতাল থেকে । আদনান তখনও এক ভাবেই দাড়িয়ে ! নোরাকে সে ঠিক বুঝতে পরছে না । মেয়েটার এমন আচরন সত্যিই তাকে খানিকটা অবাক করে দিয়েছে । মেয়েটা এমন একটা কথা বলবে সেটা আদনান মোটেই ভাবতে পারে নি ।
আদনান কিছু বলতে গেল । কিন্তু তাকে থামিয়ে দিলো । বলল, ভাববেন না যে আমি কেবল আপনার সাথে থাকার জন্য কিংবা আপনার কারনে মিথ্যা বলেছি । আমি চলে গেলে আম্মুর যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে আমি কোন দিন নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না !
BẠN ĐANG ĐỌC
বড় গল্প সমূহ
Lãng mạnআমার বেশির ভাগ গল্প ছোট ছোট । তবে মাঝে মাঝে কিছু বড় বড় গল্প লিখেছি । সেই গল্প গুলোই এই বইতে এক পর্বে কিংবা কয়েক পর্বে পোস্ট করবো ! সব গুলো বড় গল্প আস্তে আস্তে এখানে এসে জমা হবে । পড়ার আমন্ত্রন রইলো ।