দস্যি নিশি (শেষ পর্ব)

2.6K 65 9
                                    

আমি নিশির রাগ দেখে কিছুটা সময় কেবল থ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। নিশিকে তখনও শান্ত করা যায় নি। ওর ভাই সজিব সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আটকাতে পারছে না। যে কোন ভাবেই হোম নিশি বাবলুকে মারবেই। কয়েকটা থাপ্পড় যে মারে নি তা নয়। বেচারা মাথা নিচ করে দাঁড়িয়ে আছে।

সজিব নিশিকে আটকাতে পারছে না দেখে আমি নিজে এগিয়ে গেলাম৷ নিশির হাত ধরে বললাম

-শান্ত হও প্লিজ।

নিশি আবার দিকে তাকিয়ে বলল,

-শান্ত হব? এই কুত্তারবাচ্চা তোমার গায়ে হাত দিয়েছে আর আমি শান্ত হব! আমি ওকে আজকে মেরেই ফেলবো! এতো বড় সাহস ওর!!

আমি সজিবের দিকে তাকিয়ে বলল

-বাবলুকে নিয়ে যাও এখান থেকে।

নিশি এই কথা শোনার সাথে সাথে সাথে বলল,

-এই সজিব, খবরদার বলতেছি, ভাল হবে না।

আমি বললাম

-নিয়ে যাও তো। আমি দেখছি।

ঐদিনের পর পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। আগে যেমন নিশিকে দেখলেই আমি পালিয়ে বেড়ানোর চেষ্টা করতাম এখন আর সে কাজ করি না। প্রতিদিন বরং নিশির সাথেই এখন গল্প করি। আমার বাইক ভীতি অনেকটাই কেটে গেছে এখন নিশির কারনেই। এবং নিজেও রাইক চালানো শেখা শুরু করেছি।

কিন্তু এই সব কিছু একজনের কাছে ভাল লাগছিলো না। সেটা হচ্ছে এই বাবলু। আগে আমার প্রায়ই মনে হয় বাবলু নামের ছেলেটা নিশিকে পছন্দ করে কিন্তু ওর ভাইয়ের কারনে নিশিকে কিছু বলতে সাহস পায় না।

আর নিশি যখন আমার সাথে সময় কাটাচ্ছে, হাসছে খেলছে এটা বাবলুর কিছুতেই সহ্য হয় নি।

তিনদিন আগের এক দুপুরে বাবলু আমার পথ আটকালো। তারপর আমাকে পাশের গলির ভেতরে যেতে বলল। আমি প্রথমে মনে করলাম হয়তো নিশিই আমাকে ডাকছে। নিশি না হলেও সম্ভবত সজিব ডাকতে পারে কোন কারনে। যদিও কদিন ধরে ওদের দুজনের সাথেই আমার সম্পর্ক অনেক ভাল হয়ে গেছে। ফোনেই কথা হয়। দরকার হলে এখন ফোনে ফোনেই হয়। এভাবে বাবলুকে দিয়ে ডাকাডাকির দরকার নেই। তবুও মনে হল হতেই পারে৷

বড় গল্প সমূহWhere stories live. Discover now