দ্য আনএক্সপেক্টেড ব্রাইড (প্রথম অংশ)

2K 47 2
                                    

ছুটির দিন গুলোতে বুক স্টোরে ভীড়টা একটু বেশি থাকে । এই দিনে তাই নোরাকে একটু বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় । বই চেক করে দেখা, সেগুলো দাম মিলিয়ে মূল্য রাখা । তাছাড়াও মাঝে অনেক গ্রাহকদের বই খুজেও দিতে হয় মাঝে মাঝে । নোরার অবশ্য কাজ গুলো করতে বেশ মজাই লাগে । সব সময় বইয়ের ভেতরে থাকাটা ওর মন্দ লাগে না । তবে অন্যান্য দিন গুলোতে ভীড় থাকে কম । তখন একটু অবসর সময় কাটানো যায় ।

তবে আজকের ব্যাপারটা সম্পূর্ন অন্য রকম । নোরা কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে রইলো বেশ কিছুটা সময় । তারপর সেখান থেকে মুখ সরিয়ে ঠিক ডান দিকে দাড়িয়ে থাকা ছেলেটার দিকে তাকালো । তারপর আবারও স্ক্রিনের দিকে তাকালো । স্ক্রিনে আদনান চৌধুরীর একটা ছবি বের করা রয়েছে । ডিপ ব্লু রংয়ের সুট পরা । স্যুটের ভেতরে পরেছে হাকলা গোলাপী রংয়ের একটা শার্ট সেই সাথে ডিল ব্লু টাই। কালার কম্বিনেশনটা অন্য কারো ক্ষেত্রে হলে বড় হাস্যকর লাগতো কিন্তু আদনান চৌধুরীকে রাজপুত্রের মত লাগছে । সেই দিকেই নোরা কিছু সময় কেবল তাকিয়ে রইলো । ওর এখনও ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না যে এই ছেলেটাই এখন এই বুক স্টোরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।

ভাবা যায় ?

গতকালকেই সে জানতে পেরেছে এই ছেলেটা ওদের বুকশপে এসে হাজির হয় । ও হয়তো চিনতেও পারতো না যদি না অরিন ওকে বলতো ! নোরার বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা । নোরার পরিবার থাকে বগুড়াতে । নোরা ঢাকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকে। মাস শেষে বাবা ওকে বেশ ভাল পরিমান টাকায় দেয় তবুও নোরা একেবারে পায়ের উপর পা তুলে, সম্পর্ন খচরটা বাবার উপরে চাপিয়ে দিতে চায় না । বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির শুরু থেকেই কিছু করার চেষ্টা করেছিলো । প্রথম কিছু দিন টিউশনী করিয়েছিলো । তবে বুঝতে পেরেছিলো যে টিউশনি ব্যাপারটা তার সাথে ঠিক যাচ্ছে না । অন্য কিছু করার চেষ্টা করছিলো তখনই এই অনিন্দ্য বুক স্টোরে চাকরিটা পেয়ে যায় । নোরার দায়িত্ব হচ্ছে বিকেলের দিককার কাস্টমার সামাল দেওয়া । বিশেষ করে কাউন্টার সামলানোর দায়িত্ব ওর । ছোট বেলা থেকেই বই পড়ার একটা অভ্যাস আছে তার । এতো বড় একটা বইয়ের দোকানে ঘন্টা ৬ থাকাটা মোটেও মন্দ হবে না ।

বড় গল্প সমূহDove le storie prendono vita. Scoprilo ora