বাইরে বেরোতেই মনটা ভালো হয়ে গেল সিদ্রার। কিছুক্ষণের জন্য এলোমেলো চিন্তাগুলো উড়াল দিল মাথা থেকে। আকাশটা একদম ঝকঝকে পরিষ্কার, মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। ঘুরতে যাওয়ার জন্য একদম পার্ফেক্ট ওয়েদার। ড্রাইভিং সিটের পাশের দরজাটা খুলে ধরল রাইয়্যান।
গাড়িতে উঠে বসতেই আবার ভাবনাগুলো ভীড় করল সিদ্রার মনে। জীবনের প্রথম আব্বু আম্মু অথবা বোনকে ছাড়া কোথাও ঘুরতে যাচ্ছি। যদিও জানিনা কোথায় যাচ্ছি কিংবা আদৌ ঘুরতে যাচ্ছি কিনা। কারণ এর পেছনে লোকটার যদি অন্য কোন উদ্দেশ্য থেকে তাহলে তো হয়েই গেল। ভয়ংকর কিছু হবেনা তো আজকে?
“সিটবেল্টটা বেঁধে নাও” রাইয়্যানের কথায় যখন সিদ্রা ভাবনার জগত থেকে ফিরে এল, ততক্ষণে গাড়ি টি এস্টেট ছেড়ে বড় রাস্তায় পড়েছে।
নাও! হঠাৎ করে তুমি বলছে কেন? মানুষের সামনে নাহয় বলে, কিন্তু এখন তো কেউ নেই, তাহলে?
“তুই করেই বলেন, গাড়ির ভেতর কেউ তো আর শুনতে আসছেনা, আপনার মান সম্মান যাবেনা” সিটবেল্ট লাগাতে লাগাতে বলল সিদ্রা।
“না, আজকের জন্য তুইতোকারি অফ” গাড়ি স্টার্ট দিল রাইয়্যান।
“কেন?” বিস্মিত কণ্ঠে বলল সিদ্রা।
“ঘুরতে গিয়ে বসগিরি দেখালে, ঘুরার কোন মজা থাকবেনা তাই। ধরে নে, আজকের জন্য আমরা.......বন্ধু?” ‘সত্যিকারের হাজবেন্ড ওয়াইফ’ বলতে ইচ্ছে করছিল রাইয়্যানের, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সাহসে কুলোলনা, পাশাপাশিই বসে আছে, থাপ্পড় খেতে দেরী হবেনা।
অবাক হওয়ার সাথে হাসি পেল সিদ্রার, যদিও সেটা রাইয়্যান দেখতে পেলনা।
“ছেলে আর মেয়ের মধ্যে কখনও বন্ধুত্ব হয়না। আধুনিক সমাজ হয়তো বানিয়েছে, কিন্তু ইসলাম সেটা এলাউ করেনা”
“তাহলে রক্তের সম্পর্ক ছাড়া কি এক মানুষের সাথে অন্য মানুষের কোন সম্পর্ক থাকবেনা?”
“কেন থাকবেনা? ভাইবোনের সম্পর্ক থাকবে। হাদীসেই তো আছে এক মুসলমান আরেক মুসলমানের ভাই, মেয়ে হলে সেটা বোন হবে”
ВЫ ЧИТАЕТЕ
যে গল্পের নাম ছিলনা
Художественная прозаঅচেনা এক লোক সিদ্রাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে এলো জঙ্গলের এক কুঁড়েঘরে। শুরু করলো একের পর এক অত্যাচার। এমন অপরাধের শাস্তি ওকে দেয়া হচ্ছে যা করার কথা ও ভাবতেও পারেনা। কিন্তু তাহলে ও শাস্তি পাচ্ছে কেন? এই অত্যাচারের শেষ কোথায়? লেখিকার কথা: সম্পূর্ণ শখের বশে...