১ মাস আগের কথাঃ"ফারহান, ফারহান, আমি এসে গেছি" বাংলোতে প্রবেশ করেই ডাক ছাড়ল রাইয়্যান।
সোফাতে গা এলিয়ে দিতেই বানু খালা ওর জন্য শরবত নিয়ে আসল। এই বানু খালা পরিচারিকা হলেও ওদের দুই ভাইয়ের কাছে মায়ের মত। ওদের বাবা ব্যবসার কাজে সবসময় দেশে-বিদেশে দৌড়ে বেড়াতেন, আর সাথে ওদের মাকেও দৌড়াতে হত। কারণ বাবা মাকে ছাড়া এক গ্লাস পানিও ঢেলে খেতে পারতেননা। এজন্য ছোটবেলা থেকে ওদের দেখাশোনা বানু খালাই করতো। খালা বোবা, অবশ্য কানে শুনতে পায়। জন্ম থেকে বোবা না, ছোটবেলায় কি এক দুর্ঘটনায় বাকশক্তি হারিয়েছে।
"কিগো খালা, ফারহান কই? এতবার ডাকছি সাড়া দিচ্ছেনা"
কালকে থেকে বের হয়নি ঘর থেকে, ইশারায় জানাল খালা।
"কি! আবার!! এই ছেলেটা আর বদলালোনা। দাঁড়ান, আমি বের করে আনছি গুহামানব কে" এই বলে সিঁড়ির দিকে এগোল রাইয়্যান।
মু'তাসিম বিল্লাহ রাইয়্যান, খান গ্রুপের কর্ণধার, বর্তমানে দেশের লিডিং ইয়াং বিজনেসম্যানদের মধ্যে অন্যতম। সেরা বললেও অত্যুক্তি হবেনা, তবে ক্যামেরার সামনে থাকতে পছন্দ করেনা বলে সাধারণ মানুষের কাছে তেমন পরিচিত নয় নামটা।
খান গ্রুপের গোড়াপত্তন করেছিলেন মরহুম বাবা আফসার উদ্দীন খান। তিনিও ছিলেন সেসময়ের সেরা একজন ব্যবসায়ী। এখনো সৎ এবং সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তার নাম ব্যবসায়ী মহলে প্রশংসা এবং সম্মানের উচ্চারিত হয়।
বারো বছর আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় সস্ত্রীক মৃত্যুর পর যোগ্য উত্তরাধিকারী হিসেবে খান গ্রুপকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে তাঁর বড় ছেলে রাইয়্যান। এত কম বয়সে সফলতার সাথে এতবড় ব্যবসা সাম্রাজ্য পরিচালনা করা হয়ত কঠিন, কিন্তু সেটা যে অসম্ভব না, সেটাই প্রমাণ করেছে সে এই বারো বছরে।
মা-বাবাকে একসাথে হারিয়ে এতটা শক্ত থাকা হয়ত সম্ভব ছিলনা। কিন্তু ৮ বছর বয়সী ছোট ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সেই ১৬ বছর বয়সেই বড় হতে হয়েছে রাইয়্যানকে। কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে বিশাল দায়িত্ব।
![](https://img.wattpad.com/cover/188177104-288-k270498.jpg)
YOU ARE READING
যে গল্পের নাম ছিলনা
General Fictionঅচেনা এক লোক সিদ্রাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে এলো জঙ্গলের এক কুঁড়েঘরে। শুরু করলো একের পর এক অত্যাচার। এমন অপরাধের শাস্তি ওকে দেয়া হচ্ছে যা করার কথা ও ভাবতেও পারেনা। কিন্তু তাহলে ও শাস্তি পাচ্ছে কেন? এই অত্যাচারের শেষ কোথায়? লেখিকার কথা: সম্পূর্ণ শখের বশে...