রাইয়্যান কাছে আসতেই পিছু হটলো সিদ্রা, কিন্তু ভুলে গেল যে বাথরুমের খোলা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ও। তার ফলে যা হবার তাই হলো, চৌকাঠে পা লেগে উলটে গেল পেছন দিকে, আ...... করে চিৎকার করে উঠলো সিদ্রা। ঠিক সময়ে ওর একটা হাত ধরে ফেলল রাইয়্যান, বাঁচিয়ে দিল আছাড় খাওয়ার হাত থেকে। পরমুহূর্তেই হ্যাঁচকা টান দিয়ে সোজা করলো ওকে।
ঘটনার আকস্মিকতায় মোটামুটি হা হয়ে গেছিলো সিদ্রা। সেই হা করা মুখে থার্মোমিটার ঢুকিয়ে দিয়ে হাসতে লাগলো রাইয়্যান। সিদ্রার ভীত চোখমুখ দেখে মজা করে একটু ভয় দেখাতে চেয়েছিল ও, কিন্তু সেটা যে এতখানি কাজে দিবে ভাবতেও পারেনি।
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে থার্মোমিটার মুখে নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো সিদ্রা। ভীষণ লজ্জা পেল ও, উনি আমার জ্বর মাপতে আসছিলেন আর আমি এমন উদ্ভট চিন্তা করছিলাম! ছি!! ছি!!!
এক মিনিট পর রাইয়্যান নিজেই ওর মুখ থেকে থার্মোমিটার বের করে নিলে সম্বিৎ ফিরল ওর।
"যাক, নরমাল" স্বস্তির সুর রাইয়্যানের কন্ঠে। বিড়বিড় করে আলহামদুলিল্লাহ্ বলল সিদ্রা।
"আচ্ছা, তুই বাসায় একা থাকতে পারবি, আমি তাহলে খালাকে দেখে আসতাম"
হাঁফ ছেড়ে বাঁচল যেন সিদ্রা, "হ্যাঁ হ্যাঁ, কেন পারবোনা?"
"ঠিক আছে, আমি বেরোচ্ছি তাহলে"
মাথা নেড়ে সম্মতি জানাল সিদ্রা, রাইয়্যান দরজার কাছে গিয়ে ঘুরে দাঁড়াল আবার।
"বুবুর বাসা থেকে খাবার আনিয়েছি, নিচে টেবিলে ঢাকা দেয়া আছে, খেয়ে ঔষধ খেয়ে নিবি"
"আপনি খেয়েছেন?" বলেই জিভে কামড় দিল সিদ্রা। উনি খেলেন কি খেলেন না, তাতে আমার কি? নিজের ওপর বিরক্ত হল ও।
"হুঁ" মুচকি হেসে বেরিয়ে গেল রাইয়্যান।
***
বুবুকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে খালার কাছে রয়েছে রাইয়্যান। খালার জ্বর অবশেষে ছেড়েছে, এখন ঘুমাচ্ছে। টেস্ট রিপোর্ট এসে গেছে, নিউমোনিয়া হয়েছে খালার। কয়েকদিন এখানে ভর্তি থাকতে হবে খালাকে। সেটা শুনে চিন্তায় পড়ে গেছে রাইয়্যান। সিদ্রা মুখে কিছু না বললেও একা বাসায় ওর সাথে থাকতে সিদ্রা অস্বস্তি বোধ করবে এটা ভালই বুঝতে পারছে ও। বুবুর বাসার কাজের মেয়েটাকে বাসায় এনে রাখা যায়, কিন্তু ওর আর সিদ্রার আলাদা থাকার বিষয়টা চোখে পড়ে যাবে ওর। কাজের উসিলা দিয়ে ঢাকায় চলে যাব? নাহ! খালা আর সিদ্রা দুজনেই অসুস্থ, এই অবস্থায় কোথাও যাওয়া খারাপ তো দেখাবেই, আমারও মন মানবেনা। কি করি আমি এখন?
YOU ARE READING
যে গল্পের নাম ছিলনা
General Fictionঅচেনা এক লোক সিদ্রাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে এলো জঙ্গলের এক কুঁড়েঘরে। শুরু করলো একের পর এক অত্যাচার। এমন অপরাধের শাস্তি ওকে দেয়া হচ্ছে যা করার কথা ও ভাবতেও পারেনা। কিন্তু তাহলে ও শাস্তি পাচ্ছে কেন? এই অত্যাচারের শেষ কোথায়? লেখিকার কথা: সম্পূর্ণ শখের বশে...