পর্ব-১৯

735 27 0
                                    

চোখটা খুলেই সিদ্রা বুঝলো, সামনের কটা দিন খারাপ যাবে। সামনেই আলমারিতে ঠেস দিয়ে লোকটা দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু, লোকটার ডাক শুনে ঘুম ভেঙেছে এমন তো মনে হচ্ছেনা। কতক্ষণ হল এসেছে লোকটা! খালার মত ধড়মড় করে উঠে বসল সিদ্রা, মাথায় হাত দিল ওড়না ঠিকঠাক আছে কিনা দেখার জন্য। খালা যদি কালকের ঘটনা বলে দিয়ে থাকে, আমার কপালে দুঃখ আছে, ভাবল সিদ্রা।

“বাইরে আয়” বলে ঘর থেকে বের হয়ে গেল লোকটা।

তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে মনে হল, ধুর! এত বাধ্যতা দেখানোর কি আছে, বলে দিলে দিবে। এমনিতেই তো এত টর্চার করছে, এর বেশি আর কি করবে?

“কথা কানে গেলনা? দেরী হচ্ছে কেন?”

লোকটার হুঙ্কার শুনেও ধীরেসুস্থে নেমে দরজার কাছে গিয়ে হালকা ঠেস দিয়ে দাঁড়াল সিদ্রা।
লোকটা বাইরে পায়চারি করতে করতে খালাকে বলল, “তুমি তো ওকে আরাম দিয়ে দিয়ে অলস বানিয়ে দিয়েছো, খালা! আমার কথা মেনে চলছোনা কিন্তু তুমি। তুমি কি চাচ্ছো আমি তোমার জায়গায় অন্য কাউকে এপয়েন্ট করি?”

সজোরে মাথা নাড়লো খালা, কিন্তু সিদ্রার চেহারা ভাবলেশহীন, খেয়াল করলো লোকটা।
আর সিদ্রা ভাবছে, লোকটাকে দেখে এক্সট্রা রাগ করে আছে বলে মনে হচ্ছেনা। খালা মনে হয় কিছু বলেনি। থ্যাংকইউ খালা, মনে মনে বলল ও।

“আমি বরং তোমার জায়গায় হাসানকে এপয়েন্ট করি, ছেলেটা খুবই ভাল, আমার আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে, কোন চিন্তা করতে হবেনা আমার”

মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল সিদ্রার।

“ক-ক্কি বলছেন কি আপনি? এই জঙ্গলের মধ্যে আমাকে একটা ছেলের কাছে রাখবেন?” মুখ দিয়ে কথাগুলো বের হয়ে যেতেই আফসোস হল ওর, ইশ! নিজের দুর্বলতা নিজেই প্রকাশ করে দিলাম!

“কেন? সমস্যা কি? তোর বাকি কিউরিওসিটিগুলোও নাহয় ওকে দিয়ে মিটিয়ে নিবি!”

লোকটার নোংরা ইঙ্গিত বুঝতে একটুও কষ্ট হলনা সিদ্রার। রাগী চোখে তাকাল ও লোকটার দিকে। জবাব দিতে গিয়েও থেমে গেল, বেশি কথা বলতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

যে গল্পের নাম ছিলনাTempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang