পরদিন সন্ধ্যার পর আদেশজারি করলো রাইয়্যান, রেডি হতে হবে, ওরা নাকি বাইরে ডিনার করতে যাবে। সিদ্রাও শর্ত দিল, যদি বুবু আর খালা যায়, তাহলেই শুধু ও যাবে, নাহলে না। বেচারা রাইয়্যান, আগে ওকে হুমকি ধামকি দিয়ে কত কিছু করিয়েছে, কিন্তু এখন যেন আর কিছুতেই পারছেনা, বাধ্য হয়ে রাজি হল।
“ঠিক আছে, আমরা রেডি হয়ে বুবুর বাসায় গিয়ে বুবুকে নিয়ে তারপর যাব”
কিন্তু বুবুর বাসায় গিয়ে দেখা গেলো বুবুর মাথা ধরেছে, বাইরে যেতে পারবেনা, ওদের দুজনকে যেতে বলল। কিছুতেই রাজি হলনা সিদ্রা, শেষমেশ চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে হোম ডেলিভারি আনার সিদ্ধান্ত হল।
দেড় ঘণ্টা পর ডেলিভারি দিয়ে গেলে সবাই মিলে খেতে বসল ওরা। যথারীতি গল্পগুজবের মধ্য দিয়ে খাওয়া দাওয়া চলছিল। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো যখন বুবু শুনল যে সিদ্রা এখনো রাইয়্যানকে আপনি করে বলছে।
“তুই এই মুহূর্ত থেকে ওকে তুমি করে বলবি, নাহলে তোর সাথে কোন কথা নাই আমার” মুখ ঘুরিয়ে বলল বুবু।
“ছাড়োনা বুবু, আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি, কিছুই মনে হয়না আমার। ডাক দিয়ে কি এসে যায় বলো, ভালবাসাটাই তো আসল” সিদ্রা হা করে তাকিয়ে রইল রাইয়্যানের দিকে। ঠিক শুনছি আমি? উনি বুবুকে সাপোর্ট না করে আমাকে সাপোর্ট করছেন!
“উঁহু, তুই মাঝখানে ঢুকবিনা, এটা আমার আর ওর মধ্যের ব্যাপার। আমি দেখতে চাই আমার কথার কোন গুরুত্ব ওর কাছে আছে কি নেই!”
বুবুর সিরিয়াস কথা শুনে ভয় পেয়ে গেল সিদ্রা, বুবু সত্যি সত্যি রাগ করে ফেললে তো মুশকিল হয়ে যাবে, তার থেকে সামান্য একটা তুমিই তো, কি আর হবে!
“আচ্ছা আচ্ছা, রাগ করোনা বুবু প্লিজ, বলো, কি বলতে হবে?”
“কি বলতে হবে মানে? যা খুশি বল, যেমন ধর, আমি তোমাকে ভালবাসি” চোখ টিপল বুবু।
নিজের অজান্তেই গাল দুটো টকটকে লাল হয়ে গেল সিদ্রার, কেন যে এত লজ্জা পেল নিজেও বুঝতে পারলনা, মাথা নিচু করল ও। হাসল বুবু,
“আচ্ছা বাবা ঠিক আছে, লজ্জা পেতে হবেনা, ওইসব পার্সোনাল সময়েই বলিস, এখন অন্যকিছু বল”
![](https://img.wattpad.com/cover/188177104-288-k270498.jpg)
YOU ARE READING
যে গল্পের নাম ছিলনা
General Fictionঅচেনা এক লোক সিদ্রাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে এলো জঙ্গলের এক কুঁড়েঘরে। শুরু করলো একের পর এক অত্যাচার। এমন অপরাধের শাস্তি ওকে দেয়া হচ্ছে যা করার কথা ও ভাবতেও পারেনা। কিন্তু তাহলে ও শাস্তি পাচ্ছে কেন? এই অত্যাচারের শেষ কোথায়? লেখিকার কথা: সম্পূর্ণ শখের বশে...