পরদিন ভোরে দরজায় ক্রমাগত ধাক্কার শব্দে ঘুম ভাঙল রাইয়্যানের। আমার দরজায় ধাক্কা! নিশ্চয় গুরুতর কিছু হয়েছে, জলদি বিছানা থেকে নেমে দরজা খুলল রাইয়্যান। কান্নাভেজা চোখ নিয়ে সিদ্রা দাঁড়িয়ে আছে, ওকে দেখেই দুহাতে মুখ ঢেকে ভেউভেউ করে কাঁদতে লাগল। ভয় পেয়ে গেল রাইয়্যান।
“এই, কি হয়েছে? এভাবে কাঁদছিস কেন?”
কিছু বলতে গিয়েও কান্নার চোটে বলতে পারলনা সিদ্রা। সান্ত্বনার ভঙ্গিতে ওর দু'কাঁধে হাত রাখল রাইয়্যান।
“শান্ত হয়ে বল আগে কি হয়েছে, নাহলে বুঝব কি করে?”
“খালার অনেক জ্বর….কিছুতেই কমছেনা... সব আমার জন্য হয়েছে… আমি ভিজতে না বললে এসব কিছুই হতনা... সব আমার দোষ…. প্লিজ আপনি কিছু করেন…. খালাকে বাঁচান” সিদ্রার কান্নার মাঝে থেকে এই কথাগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হল রাইয়্যান।
“আরে পাগলী! সেজন্য তুই এভাবে কাঁদছিস? জ্বর হলে কি মানুষ মরে যায় নাকি! কান্না থামা। চল দেখি কি হয়েছে”
রাইয়্যানের প্রতিক্রিয়া দেখে অবাক হল সিদ্রা, ব্যাপারটা উনি এত হালকাভাবে নিচ্ছেন কিভাবে? আসলে ও প্রচণ্ড অপরাধবোধে ভুগছে। জঙ্গলেও খালার জ্বর হয়েছিল ওর জন্য। আর এখন আবার, সেটাও ওরই পাগলামির জন্য, এটাই ও মানতে পারছেনা। তাও একটু আধটু হলে হয়। কি প্রচণ্ড তাপ! সারারাত ধরে জলপট্টি দিয়ে, মাথায় পানি ঢেলেও কমছেনা। ভয় পাবেনা?
রাইয়্যান ঘরে ঢুকে দেখল খালার কপালে জলপট্টির কাপড়। সেটা সরিয়ে হাত দিতেই চমকে উঠলো, পুরো আগুন! মেয়েটা অহেতুক ভয় পায়নি। চুল ভেজা খালার, নিচে বালতিও দেখা যাচ্ছে। মাথায় পানিও ঢেলেছে দেখছি।
“তুই থাক এখানে, আমি বুবুকে ফোন করে দেখি” মাথা নেড়ে সায় দিল সিদ্রা।
ফোন হাতে নিয়ে ফিরে আসল রাইয়্যান, দেখল সিদ্রা খালার হাতপা মুছে দিচ্ছে। চেয়ারে বসে বলল, “বুবু আসছে এখনি, কখন থেকে এ অবস্থা?”
“মাঝরাত থেকে”
“কি? এখন তো ছয়টা বাজে! কিন্তু…… তুই তো শুয়ে পড়েছিলি, কিভাবে বুঝলি?” হতভম্ব দেখাচ্ছে রাইয়্যানকে।
YOU ARE READING
যে গল্পের নাম ছিলনা
General Fictionঅচেনা এক লোক সিদ্রাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে এলো জঙ্গলের এক কুঁড়েঘরে। শুরু করলো একের পর এক অত্যাচার। এমন অপরাধের শাস্তি ওকে দেয়া হচ্ছে যা করার কথা ও ভাবতেও পারেনা। কিন্তু তাহলে ও শাস্তি পাচ্ছে কেন? এই অত্যাচারের শেষ কোথায়? লেখিকার কথা: সম্পূর্ণ শখের বশে...