শরীর কি শুধুই ভ্রান্ত ধারণা,
বুদবুদের আনাগোনা...
জীবনভর দিনগোনা...
যত সেবা-যত্নেই পালিত হোক না কেন,
প্রেম ভালবাসায় পরিপূর্ণ হোক না কেন,
হাসপাতালের ছাড়পত্র হাতে থাক না কেন,
কেউ জানে না সৃষ্টিকর্তার এজলাসে
আজ জামিন মনজুর হবে কি হবে না!
কেউ শরীরকে সদা সচল রাখবার বাসনায় জিমে ছোটে,
কেউ আরামকেদারায় বসে জীবনের জট আলগা করে,
কেউ সংসারে আসক্ত হয়ে সাদা বিছানায় অপেক্ষা করে,
কেউবা সংসারে বিরক্ত হয়ে মুক্তির আশায় অনাসক্তি চর্চা করে,
গণনার ফাঁদে পড়ে নামাবলি গায়ে
পুরুত, তিথি নক্ষত্র বিচার করে,
কিন্তু - হলফ করে বলতে পারে না,
আজ রাত কাটবে কি কাটবে না!
শিশুরা বিদ্যাচর্চার শুরুতে,
হাজার সরঞ্জামের ভিতর থেকে,
কেউ বেছে নেয় পুতুল,
কেউবা বন্দুক,
কেউ পেনসিল,
কেউবা তুলি।
সময় বুঝে সযত্নে রক্ষিত কৈশোরের জরায়ু ছিঁড়ে
ধূমকেতুর মতো হাজির হয় দোর্দণ্ড প্রতাপ যৌবন –
যেন মদমত্ত মাতাল,
কেউ সাফল্যে মত্ত,
আবার কেউ ঝুলি হাতে তৃপ্ত।
সময়ের বাতাস বইতেই থাকে,
শরীরও খোলস পালটাতে থাকে...
কারও শ্রাদ্ধবাসর বিবাহবাসরকে হার মানায়,
কেউ নির্জনে নর্মদায় ঝাঁপ দিয়ে শান্তি পায়।
জীবন, যৌবন, খ্যাতি, গ্লানি সব ভেসে যায়
এক স্রোত, এক তাল, এক লয়ে বয়ে যায়,
প্রকৃতির গভীর গহ্বরে পৃথিবীর সব আয়োজন
আবর্জনা হয়ে হারিয়ে যায়।
থেকে যায় শূন্য।