পর্ব -- ০৯

190 3 3
                                    

তিশাঃ

এদিকে পরপর দুইবার স্যালাইন খেয়ে
খুব জোরে বাথরুম পেয়েছে।

ক্রমাগত খালা খালা বলে ডেকেই যাচ্ছি।

কোন সাড়াশব্দ নেই।
ব্যাপার কি..!!!

এদিকে
বাথরুমও আর চেপে রাখা যাচ্ছেনা।

এবার ডাকের সাথে নানা রকম আল্টিমেটাম দেয়াও শুরু করলাম।
"খালা,
দরজা না খুললে কিন্তু ঘরে টয়লেট
হয়ে যাবে,
তাড়াতাড়ি খুলেন।"

এসব বলার পরেও যখন খালার
দেখা পাওয়া গেলো না,
তখন অসাধ্য সাধন করে ফেললাম।

খাটটাকে টেনে জানালার কাছে আনলাম।
তারপর,
বহু কসরত করে শরীরটা মােচড়া-মুচড়ি করে জানালা
দিয়ে বের করে আনলাম।

মোটামুটি জান বের হয়ে গেল
এতটুকু জানালা দিয়ে বের হতে গিয়ে।

আর ওই পাশে তাে
কিছু ছিলোনা, তাই পায়ে একটু ব্যাথাও পেলাম।
ভাগ্য ভাল
যে ভাঙেনি বা মচকায়নি।

এর আগেও একবার এই চেষ্টা করেছিলাম,
একদম
প্রথমদিন সকালে।

কিন্তু সেদিন কিছুতেই বের হতে
পারিনি।

আজকে প্রয়োেজনের তাগিদেই হোক,
আর
না খেয়ে শুকিয়ে যাওয়ার কারণেই হোক,
সফল হলাম।

পায়ে ব্যাথা নিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতেই সোজা
বাথরুমে দৌড় দিলাম।

আহ! শান্তি..!!!!
বাথরুম করেও যে এত শান্তি পাওয়া
যায়, আজকে জীবনের প্রথম উপলব্ধি করলাম,

ভাবলাম, গােপাল ভাঁড়ের গল্পটা কি আর এমনি এমনি হয়েছে..!!!

এবার মাথায় এল আসল চিন্তা।
মেয়েটাও নেই,
আর মহিলাটাও নেই। এটাই তো সুযোগ
পালানোর।

তাই, তাড়াতাড়ি করে ছেঁড়া শাড়িটা চেঞ্জ করে আমার কাপড়গুলো পারে আসি।

যেই ভাবা সেই কাজ,
দৌড়ে বারান্দায় আসলাম।
তালা কি করে খুলব, এই চিন্তা করতেই দেখি দরজার সাইডেই একটা
হুঁকে চাবি ঝোলানো।

আলহামদুলিল্লাহ্..!!! বলে তালা
খুলে ফেললাম।

তাড়াতাড়ি করে কাপড়টা চেঞ্জ করে,
ওই শাড়ি ছেড়া ওড়নাটা দিয়ে ভালভাবে নেকাব পরে
ফেললাম।

অপহরণ । (সমকামী প্রেমের গল্প / Lesbian story)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora