পর্ব -- ০৪

213 3 0
                                    

তিশাঃ

খাওয়া শেষ হলে মেয়েটা খালার দিকে তাকিয়ে ইশারা করতেই, খালা বের হয়ে গেল।
পরমুহুর্তেই হাতে করে
একটা ন্যাকড়া নিয়ে ঢুকলো,

মেয়েটা বলল,

"মেঝেটা
পরিষ্কার কর।
এবারের মত শাস্তিটি মাফ করলাম।

এরপর সময়মত না খেলে, আর কথা না শুনলে তাের
কপালে বহুত দুঃখ আছে।"


এমনিতে যেন কত সুখে আছি! ভাবলাম আমি।
তর্ক করতে ইচ্ছে করছে না,

কিন্তু চড়-থাপ্পড়গুলাের কথা
মনে পড়তেই চুপচাপ ন্যাকড়াটা নিয়ে মেঝেটা মুছে
দিলাম।

মেয়েটা আবার আমার গায়ে হাত দেক,
চাইনা আমি।
মুছার পর খালা ন্যাকড়াটা নিয়ে চলে গেল।

মেয়েটা
উঠে দাঁড়াল।

"আজকের মত তাের শাস্তি এটুকুই।
রাতে খাবার দিবে,
খেয়ে নিবি।
কাল থেকে শুরু হবে তোর নতুন জীবন!"


দরজা বন্ধ হয়ে যেতেই ডুকরে কেঁদে উঠলাম।
কাঁদতে কাঁদতে ওই বেশেই সেজদায় পড়ে গেলাম, আর
আল্লাহর কাছে কাঁদতে শুরু করলাম।

এটা আমার বহুদিনের
অভ্যাস। ছােটবেলা থেকেই আমি একটু চাপা।

সবার সাথে
তেমন মিশতে পারিনা বলে বন্ধুত্বও হতনা সহজে।

এমনকি আপন বোনের সাথেও মন খুলে কথা বলতে
পারতাম না,
কারণ দুইজনের প্রকৃতি সম্পূর্ণ আলাদা।

তখন থেকেই মনের কথা আল্লাহর সাথে
শেয়ার করা শুরু।

ভার্সিটি কিংবা অন্য কোথাও,
কেউ কিছু
বললে বা করলে তখনকার মত নিজেকে সামলে নিয়ে
বাসায় এসে সোজা জায়নামাজ নিয়ে বসে যেতাম।

কখনো মোনাজাতে কখনো সেজদায়,
কাঁদতে কাঁদতে
আল্লাহর কাছে বিচার দিতাম।

এজন্য বোনের কাছে
কাঁদুনি বুড়ি উপাধিও পেয়েছি।

যখন বুঝতে শিখলাম যে,
কারো খারাপ চাইতে
নেই,
তখন থেকে শুধু নিজের কষ্টগুলোই বলতাম,
অভিযােগ করতাম না।

অপহরণ । (সমকামী প্রেমের গল্প / Lesbian story)Where stories live. Discover now