১৮ তম অংশঃপ্রকৃতিও যেন কাদছে।

607 17 2
                                    

হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙ্গে গেল।চোখ খুলেতই দেখি চারিদিক অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে আছে।পরিষ্কার করে কিছুই দেখা যাচ্ছে না।আমার অনুভুতি শক্তিও কাজ করছে না।শরীর প্রচন্ড পরিমানে ঘেমে যাচ্ছে।খুব গরম লাগছে।কোন বাতাস নেই।দম আটকে আসছে আমার।কিন্তু কোথায় আমি?আর কয়টাই বা বাজে?যে চারিদিক এতটা অন্ধকার লাগছে ।

ধীরে ধীরে বুঝতে পারলাম আমি বিছানায় শুয়ে আছি।তবে আমার ঘরতো এত অন্ধকার থাকে না।বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমি অন্ধকার ঘরে ধুমোতে পারিনা।কেননা বেশীরভাগ সময়ই রাতে এভাবে আচমকা ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার।আর ঘর অন্ধকার থাকলে আমার খুব ভয় হয়।আমি এখন অন্ধকারকে খুব ভয় পাই।কিন্তু আমার জীবন আগে এমন ছিল না।তাই আমার ডাক্তার বলেছেন আমার রুমে যেন সবসময় আলো থাকে।তাই রাতে আমার রুমে সবসময় মৃদ্যু অলো জ্বলে।

আমি শেষ অব্দি আমার ফোন খুজে পেলাম।ফোনের লক খুলতেই উজ্জ্বল স্ক্রিন ভেসে উঠল।আমি স্ক্রিনে তাকাতে তাকাতে উঠে বসলাম।যা  প্রকাশ করছে আজকের তারিখ আর সময়।এখন সময় সকাল ৪টা বেজে ৪০মিনিট।মানে কিছুক্ষন পর ফজরের অয়াজান দিবে।কিন্তু আমার রুমের ফ্যান অফ কেন?ফ্যানের সুইচ অন করতে গিয়ে দেখি তা অন করা।তার মানে কারেন্ট চলে গেছে।আর আমাদের আই.পি.এসটাও গত দিন পাচেঁক আগে নষ্ট হয়েছে।আমি লম্বা এক দীর্ঘশ্বাস ফেল্লাম।হতে পারে কিছুক্ষনের মধ্যে কারেন্ট চলে আসবে।কারন এখন আমাদের এলাকায় খুব কম লোডশেডিং হয়।হলেও খুব তারাতারি কারেণ্ট চলে আসে।

 এখন আর আমার ঘুম আসবে না।তাই আমি বিছানা থেকে নেমে বাথরুমে ডুকলাম।হাতুমুখ ধুয়ে ওযু করে বের হলাম।তবে আজান দিতে আরো ১০ মিনিট বাকি।ঘরে বাতাস ডুকার জন্য রুমের সব জানালাগুলো খুলে দিলাম।হুম্ম...এখন বাতাস ডুকছে।আমার রুমের বারান্দার দরজা খুলে, বারান্দায় গিয়ে দাড়া্লাম।দাড়াতেই খুব সুন্দর শীতল বাতাস আমার বয়ে গেল।যা পুরো শরীরকে শীতল করে।বারান্দার রেলিং ঘেষে হেলান দিয়ে দড়াতেই দেখি রাস্তার কিছু কুকুর দৌড়াচ্ছে আর ধেউ ধেউ করে ডাকছে।রাতে আসলেই শহরের চিত্র অন্য রকম হয়।খুব মায়াবী,রহস্যময়ী আর শান্ত লাগে।সারাদিনের কর্মব্যস্ত ,চাঞ্চল্যকর শহর যেন মধ্যরাতে নিরব,নিস্তব্ধ হয়ে যায়।সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে যেন সতেজ হয়ে নেয় নতুন এক দিন শুরু করার জন্য।

ভালবাসার অপেক্ষায়...Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang