#৬

366 24 0
                                    

#প্রাপ্তি

#৬

রশ্নী ওর কেবিনে বসে বসে একের পর এক রিপোর্ট চেক করছে,এত ভুল আর অসামঞ্জস্য!ঠিক করতে রেডিও করতে জান খারাপ হয়ে গেল বুঝি।টানা দুইঘন্টা কাজ করে ওর মাথা ধরে যায়।ফোন তুলে অফিসের পিওন ছেলেটাকে এক কাপ পড়া লিকারের চা দিয়ে যেতে বলে উঠে দাঁড়ায়।আড়মোড়া ভেঙে ঘাড় নাড়াতে নাড়াতে কাঁচের দেয়াল ভেদ করে দেখে সামনের ঘর থেকে তুহিন ওর দিকে তাকিয়ে আছে।চোখাচোখি হওয়ায় তুহিনের দিকে হাত নাড়ায়,ছেলেটা ওকে দেখে হাসে।ইশারায় ওর কেবিনে আসতে বলে।তুহিন এসে ধীরে সুস্থে মিষ্টি হাসি মুখে ঝুলিয়ে ঢুকে।রশ্নী সোফায় বসে গা এলিয়ে দেয়।

"খুব টায়ার্ড হয়ে গেছ মনে হয়?"
"দুদিনে তো মনে হচ্ছে এভারেস্ট পাহাড়ের সমান কাজ জমে গেছে,শেষই হচ্ছে না!দেখো,দু'ঘন্টা ধরে মাত্র এটুকু করলাম!কি আজব না?!"
"আহা,রিলাক্স করো একটু।বেশিই চাপ নিচ্ছ ইদানীং। চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে,এই যে..."
তুহিন ওর দিকে কিছুটা ঝুঁকে চোখের নিচে আঙুল দেয়।রশ্নী কিছুটা মন খারাপ করে।
"কি করব বল?আগে অপরাধগুলো নিয়ে তেমন মাথা ঘামাতাম না,কিন্তু এখনকার সমাজে যা যা হচ্ছে,তা সহ্যের বাইরে।আমি নিতে পারছি না মানসিকভাবে।ঘুম হয় না জানো!"
"আমার মনে হয় তুমি বাচ্চাটার ব্যাপার নিয়ে বেশি ভাবছ।তাই না?"
"ও তো আমারই দায়িত্ব,আমারই তো ভাবার কথা।তার উপর ওর উপর কেন এত হামলা হচ্ছে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।আচ্ছা,আমি কি নিজের অজান্তেই বড় কোন ঝামেলায় জড়িয়ে যাচ্ছি?"

তুহিন গাল চুলকে কি যেন ভেবে বলে,
"হতেও পারে।নাহয় আমি এরকম কোন যুক্তি দেখি না!"
"হয়ত বা বাচ্চাটাকে চুরি করে এনেছে কেউ,এখন সে জেনে গেছে ও আমার কাছে!"
"হতে পারে"
"আচ্ছা তুহিন,তুমি কি কিছু ভাবছ?এরকম হতে পারে হতে পারে করছ কেন?"
"রশ্নী,লাঞ্চ করবে এক সাথে?"
"এখন লাঞ্চের সময়?!"
"তা না,কিন্তু..."
"তুমি আমার মনোযোগ নষ্ট করতেছ, যাও এখন...কাজ করব!"

রশ্নী তুহিনকে রীতিমতো ধাক্কা দিয়ে ভাগিয়ে দেয়।তুহিন হাসতে হাসতে বেরিয়ে আসে।মাঝে মাঝে কাজ করতে করতে ও রশ্নীকে জ্বালানোর জন্য ওর কেবিনে যায়,তারপর এই সেই টপিক নিয়ে খোঁচায়,তখন রশ্নী ওকে ধাক্কিয়ে বের করে দেয়।তুহিনের বেশ মজা লাগে রশ্নীকে বিরক্ত করতে,ওর অনেক দিনের অভ্যাস।

 প্রাপ্তি (Completed ✅)Where stories live. Discover now