সো যখন রান্নাঘরে তার খাবার চেক করছে আর বাকিরা যখন ১০ বছরের বাচ্চাদের মতো মারামারি করছে তখনি বেল বেজে ওঠে,
একটা নতুন গল্পের শুরু হতে চলেছে তখন,কেউ কাঁদতে চলেছে কেউ বা চলেছে হাসতে,
কারো ভাঙতে চলেছে মন,কারো বা গড়তে চলেছে ভালোবাসার ঘর।
"সেহুন দরজা খোল গিয়ে,যা" চেন আদেশের সুরে সেহুনকে বলে উঠে,
সেহুন তখন একটু রেগে গিয়ে বলে ওঠে,"আমি কেনো?এখানে এতো মানুষ থাকতে?বাকিরা আমার বড় ঠিক আছে কিন্তু কাই?ওকে কেনো কিছু বলো না?"
"আমিও তোর বড়",কাই বিদ্রুপের সুরে বলে ওঠে।
কোনো উপায় না দেখে সেহুন যায় দরজা খুলতে,হয়তো সেহুনের তখনও কোনো ধারণা নেই যে কোনো সবাই তাকে দরজা খোলার জন্য জোর করছিলো,সেহুনের জানা নেই তার জন্যে কি বিশাল সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে দরজার ওপারে,সেহুন হয়তো জানলে সবার আগে গিয়ে দৌড়ে নিজেই দরজা খুলতো।
সেহুন দরজা খুললো,আর দরজার ওপারেই একমুখ হাসি দিয়ে দাড়িয়ে ছিলো সুহো।
সেহুন জানলো না এইটা কি ঋতু ছিলো,আদৌ আকাশে কালো মেঘ ছিলো কিনা,বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা ছিলো কিনা বা ঝড়ো বাতাস বইছিল কিনা,শুধু সে জানতো তার হৃদয়ে বৃষ্টি ঝড়ছে,তুফান চলছে,সে আজ প্রায় ৩ বছর পর দেখেছে সুহো কে,তার জীবনের অংশকে!তার বড় ভাইকে,যার কাছেই মানুষ সে।
সেহুন তার বাবা মা কে দেখেনি,তাদের অভাবও অনুভব করেনি কখনো,তার জীবনে বাবা মায়ের দরকারও পড়েনি কখনো,কারণ সুহো ছিলো তার পাশে সবসময় ছায়ার মতো।হয়তো এতো ভালোবাসা সেহুনের বাবা মায়ের পক্ষেও সেহুনকে কখনো দেয়া সম্ভব হতো না,যতোটা ভালোবাসা সুহো দিয়েছে সেহুনকে।সেহুন কিছু খেয়াল করে না,তার চোখ থেকে অবিরাম ধারায় ঝর্ণার মতো ঝড়তে থাকে অশ্রুধারা,আর সে দৌড়ে যায় সুহোর কাছে,হিয়ুং বলে জড়িয়ে ধরে সুহোকে,সেহুনও ভাইকে জড়িয়ে ধরে,সেহুনকে সে নিজেও খুব মিস করেছে।তারও তো জীবনে সেহুন ছাড়া আর কেউ নেই।শুধুমাত্র পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ ৩টি বছর সে দূরে থেকেছে তার কলিজার টুকরা ভাইটির কাছ থেকে,তবে আর নয়,এবার আর সে যাচ্ছেনা সেহুনকে ছেড়ে।
YOU ARE READING
Heart's Desire
General Fiction"পুরো পৃথিবীর চোখে তারা ছিলো বন্ধু,একে অপরের জন্য জান উজার করে দেয়া বন্ধু,কিন্তু শুধুমাত্র তাদের হৃদয়ে তারা জানতো, তারা আর দশজন বন্ধুর মতো ছিলো না ছিলো বন্ধুর চাইতেও বেশি কিছু, কেউ জেনে পুড়ছিলো আর কেউ না জেনেই পুড়ছিলো ভালোবাসায়, আর এই বন্ধুত্বের জন্...