সুপ্ত আকাঙক্ষা

Start from the beginning
                                    

"কি করছো তোমরা দুজন?বাচ্চা নাও তোমরা,২৬ আর ২৪ বছরের দামড়া ছেলে,আর মাত্র কিছুক্ষণ বাকি তোমাদের পারফর্মেন্সের,বন্ধ করো এগুলি"
ম্যানেজারের কথায় দুজন যেনো পৃথিবীতে ফিরে আসে,তবে চোখে তাদের সেই দুষ্টু হাসির ঝলক রয়েই যায়।
ম্যানেজার ইয়ংমিনও জানেন দেখতে একেকজন উঁচু লম্বা হলেও হৃদয় থেকে এরা সদ্যমাত্র জন্ম নেয়া শিশু!

"মেইকআপ নিয়ে রেডি হয়ে যাও তোমরা আর বাকি তিনজনের এখনো কোনো খবর নেই কেনো?তাড়াতাড়ি ফোন দিয়ে বলো ১০ মিনিটের মধ্যে ভেন্যুতে পৌঁছাতে,তা না হলে...আচ্ছা ঠিক আছে আমিই দিচ্ছি ফোন!"

চানিয়ল আর সেহুনের চেহারা দেখে ইয়ংমিন বুঝেই গিয়েছিলেন,এই ফোন দেয়ার কাজ তাকেই করতে হবে,এতোদিন ধরে এই ছেলেগুলোকে ম্যানেজ করতে করতে এখন তিনি ওদের চেহারা দেখেই বুঝে যান সব,
ইয়ংমিন বের হয়ে যাওয়ার পর পরই হাসিতে ফেঁটে পড়ে সেহুন আর চানিয়ল,নিজেদের এমন বাচ্চামোতে ওরা নিজেরাই মাঝে মধ্যে হেসে ওঠে,

"তোর কি মনে হয়,ওরা কে কোন রঙ্গের শার্ট পড়ে আসবে?"
"হিয়ুং,আমরা পারফর্ম করছি আজকে,তার মানে অবশ্যই আমরা সবাই এক রঙ্গের আর এক ডিজাইনের ড্রেস পড়বো,কখনো তো নিজের ব্রেইনটা ব্যবহার করো"।

চানিয়লকে যদি এতোটা গাধা মনে হয়ে থাকে তাহলে বলে দেই,চানিয়ল কিন্তু নিজে মোটেও এতোটা গাধা না,শুধু মাঝে মধ্যে নিজেকে একটু বোকা বানিয়ে মানুষকে হাসানের চেষ্টা করে,তবে মাঝে মধ্যে এই ছেলে আসলেই বোকা বনে যায় ,বিশেষ করে ডিওর সামনে।

"আচ্ছা কালোতে কি ওঁকে সবসময়ই এমন সুন্দর লাগে নাকি আজকেই ওকে একটু বেশি সুন্দর লাগছে নাকি আমি একটু বেশি কল্পনা করে ফেলছি?"
"হিয়ুং,নাহ সত্যি বলছো তুমি,আমিও ভাবিনি কালোতে কাউকে কখনো এতো সুন্দর লাগতে পারে"

বেকহিয়ুন ঢুকলো দরজা দিয়ে মেইকআপ রুমে,মুখে তার সবসময়ের মতো সেই ভুবনজুড়ানো মিষ্টি হাসি,যা দেখলে কশাইয়ের হৃদয়ও খানিকের জন্য গলতে বাধ্য,আর বাচ্চাদের মতো চেহারা যেকোনো মেয়েকে পাগল করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট,কি আছে ঐ চেহারায়?না কিছু নেই তবে ঐ চেহারা দেখলে শান্তি আসে মনে,হৃদয়ে এক অজানা ভাললাগা কাজ করে,

Heart's DesireWhere stories live. Discover now