সুপ্ত আকাঙক্ষা

51 4 8
                                    

        ❤️Heart's Desire❤️
ভালোবাসা,৪ অক্ষরের এই শব্দটি প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়,যা কিছু মানুষের জীবনে সার্থকতা আবার কিছু মানুষের জীবনে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
জীবনের কোনো না কোনো সময়ে সবার জীবনেই আসে ভালোবাসা,কেউ ধরে রাখতে পারে,আবার কেউ পারে না।
তবে এই ভালবাসার বর্ণনা কিন্তু একেকজনের কাছে একেকরকম!
যেমন চানিয়লের কাছে ভালোবাসা হলো বন্ধুত্ব
আবার ডিওর কাছে ভালোবাসা হলো প্রিয় মানুষটির জন্য নিজের অন্তরের সবটুকুই মমতা ঢেলে দেয়া
আবার বেকের কাছে ভালোবাসা হলো দুজন মানুষের হৃদয়ের বন্ধন যা থেকে সৃষ্টি আনন্দ আর বেদনার,
কাই এর কাছে ভালোবাসার মানে হলো একসাথে পৃথিবীর সব আনন্দ ভাগ করে নেয়া,
যেখানে সেহুনের কাছে ভালোবাসার মানে হলো দুজনে হাত ধরে সারাটি জীবন কাটিয়ে দেয়া,
এই ৫ জন ভিন্ন ভিন্ন চিন্তাধারার মানুষ হয়তো কখনো ভাবেওনি যে এইভাবে তারা একদিন একেকজনের জীবনের সাথে এইভাবে জড়িয়ে যাবে।
চানিয়ল,ডিও,বেক,সেহুন আর কাই এসএম এর জনপ্রিয় বয়ব্যান্ড এক্সোর সদস্য,লক্ষ কোটি মেয়ের হৃদস্পন্দন,আর দেশের গৌরব।
এক্সো কে চেনে না এমন কোনো মানুষ কোরিয়াতে নেই,চিনবেই না কি করে Nation's Boyband বলে কথা।শুরুটা মোটেও সহজ ছিলো না,কিন্তু একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস,কঠোর পরিশ্রম,দৃঢ়তা আজকে তাদের এই স্থানে এনে দিয়েছে।
আজকে এক্সোর Debut এর ১ বছর পূর্ণ হলো পুরো,আর এই ১ বছরের মধ্যে এক্সোর সাফল্য ছিলো আকাশচুম্বী,প্রথম এলবাম দিয়েই ছিলো এক্সোর বাজিমাত,তারপর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি,এই ১ বছরে ৩টা এলবাম মুক্তি পেয়েছে এক্সোর এসএম এর ব্যানার থেকে,আর ৩টি এলবামই ছিলো হিট,তরুণ থেকে শুরু করে বৃদ্ধ,প্রায় সবার মাঝেই সারা ফেলে দিয়েছিলো এক্সো,আর আজ এক্সোর জন্মদিন,১ম জন্মদিন।
আর আজ তারই অনুষ্ঠান,ফ্যানমিট আর পারফর্মেন্স,

"হুনি (সেহুন) আমাকে কেমন লাগছে রে?" চানিয়লের ভারী কন্ঠের ডাকে মোবাইলে গেইম খেলায় ব্যস্ত থাকা সেহুন হঠাৎ করেই চমকে উঠে,
"আপি নাইস লাগছা"
বলেই সেহুন আবার মনোযোগ দেয় ওর গেইমে,আজ প্রায় ৪ বছর ধরে রুমমেট থাকা চানিয়ল আর সেহুনের সম্পর্কটাই এমন,একজন আরেকজনকে খোঁচা না দিয়ে কথাই বলতে পারে না।
"আপি কে?আমি?পার্ক চানিয়ল?যাকে একনজর দেখার জন্য লক্ষ কোটি কোটি মেয়ে  হুমড়ি খেয়ে পড়ে"চানিয়লের কথা শেষ হওয়ার আগেই ঝাপিয়ে পড়ে সে সেহুনের উপর,
সেহুনও পাল্টা আক্রমণ করে চানিয়লকে,দুজন মিলে যখন মেইকআপ রুমে বিশ্বযুদ্ধে ব্যস্ত তখনই ম্যানেজার ইয়ংমিনের আগমন ঘটে,

Heart's DesireDove le storie prendono vita. Scoprilo ora