আলো আধার।

1 0 0
                                    

আকিব সাহেবের মুখে গল্পের বর্ণনা-

আমি কাজের চাপে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিল যেন আমার জীবন শুধু অফিস আর আমার বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই কাজের চাপ আমাকে ভেতর থেকে খেয়ে ফেলছিল এবং আমার দম বন্ধ হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল যে আমার এখন একটি বিরতির প্রয়োজন। রাজধানী ঢাকার এই উঁচু ইটের দালান এবং তীব্র যানজট আমার জীবনকে অসহনীয় পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এরই মাঝে খবর পেলাম আমার এক চাচাতো ভাই সম্প্রতি আমাদের গ্রামে একটি বাড়ি কিনেছে। এবং সর্বোত্তম সরঞ্জাম এবং কাঠামো দিয়ে বাড়িটি সংস্কার করে তুলেছে যাতে করে, গ্রামে গেলে সেখানে থাকা যায়। আমার ভাই আমাকে,প্রায়ই  জায়গাটা ঘুরে আসার কথা বলতো, কিন্তু আমার সময়হত না। আমি ভাবলাম, আমার ছুটির দরকার এবং যেহেতু আমার কাছে এমন একটি সুযোগ এসেছে,  এটিকে হাতছাড়া করা যাবে না। তাই আমি আমাদের গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা আমার ভাইকে জানালাম, যারে যাওয়ার আগেই  ঘর পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখা হয়। করার  ছুটি দেওয়ার জন্য আমাকে এক সপ্তাহ আগে  এই ছুটির জন্য আমাকে এক সপ্তাহ আগে থেকে আমার বসের সাথে কথা বলে তাকে রাজি করাতে হয়েছিল।  সৌভাগ্যক্রমে তিনি রাজি হলেন, এবং আমাকে ৫ দিনের ছুটি দিয়ে দিলেন ।

আমাদের গ্রামে এখন পাকা সড়ক হয়েছে, তাই বাসে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আর আগের দিন রাতেই সব গুছিয়ে তুছিয়ে রাখলাম। যাত্রার দিন ঠিক করা হল ১৬ই জুন। পরের দিন রাজধানীর গাবতলী  থেকে ভোর ৭টার একটি বাসের টিকিট বুক করলাম। ৭টার বাস আস্তে আস্তে ৮.৫৫ বেজে গেল। অবশেষে বাসে উঠে রওনা হলাম। বহুদিন পড়ে যাচ্ছি, তাই মনে আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ করা মুশকিল। সারে সাত ঘণ্টা লম্বা যাত্রার পর অবশেষে নিজ গ্রামে এসে পৌঁছালাম। গ্রামে ঢুকতেই পরিষ্কার বায়ুর সম্মুখীন হলাম।শহরে এত সতেজ আর পরিষ্কার বায়ু পাওয়া যায়না। বাস থেকে নেমে একটি রিকশা ঠিক করলাম। ১০ মিনিটের রাস্তা, হেঁটেই যাওয়া যেত কিন্তু এই পরিষ্কার বায়ুর মধুময় অনুভূতি উপভোগ করার জন‍্য  রিকশা করে যাওয়া উত্তম। গ্রামের সড়কে যানবাহন কম চলে, তাই জ্যাম নেই বললেই চলে। আমি উড়ন্ত গতিতে বাতাসের মধ্যে দিয়েই বাড়ি পৌঁছালাম।

Bhooter rajje ek dinWhere stories live. Discover now