জ্বীন বা আত্মা নিয়ে আমার সবসময় সন্দেহ ছিল। যদিও আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে , তবুও আমার মনে মিশ্র অনুভূতি ছিল। কিন্তু একদিন সব বদলে গেল। আমি একজন লেখক এবং আমি আমার কাজ খুব আবেগের সাথে করি। যখন আমি লিখি, আমি আমার চারপাশকে উপেক্ষা করে আমার চিন্তার গভীরে ডুব দিই। সেদিন আমি একটা হরর গল্প লিখছিলাম।
গল্পটি এমন যে "শাহেদ, অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। সম্প্রতি সে টাঙ্গাইলে তার নিজ বাড়িতে ছুটি কাটাতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। উন্নত শিক্ষার জন্য সে তার গ্রামের বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় এসেছিল ৯ বছর আগে। তার পরিবার ,এখন ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে কিন্তু তাদের গ্রামে এখনও তাদের বাড়ি আছে,যদিও এখন ওদের বাড়িতে কেউ থাকে না।
তার গ্রামে যাওয়ার পর, সে তার আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের সাথে দেখা করলো, আর তার শৈশবকে আবারও জীবিত করার চেষ্টা করতে লাগলো । তখন তার মনে পড়ল ঠাকুর বাড়ির কথা। শাহেদ ও তার বন্ধুরা ঠাকুর বাড়ির বাইরের মাঠে খেলতো। এটি একটি পুরানো স্মৃতিস্তম্ভ, যেখানে একসময় জমিদার সুপ্তো দাস থাকতেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর তার পরিবার বিদেশে চলে যায়।
একদিন সন্ধেবেলা পাশের হোটেলে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে শাহেদ ঠাকুর বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। জায়গাটির নিজস্ব ইতিহাস ছিল, কিংবদন্তি অনুযায়ী জমিদার সুপ্তো দাস তার মেয়ে এবং রাজশাহীর একজন ধনী ব্যবসায়ীর মধ্যে একটি বিবাহের ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার মেয়ে অন্য কাউকে ভালোবাসতো। এবং সুপ্তো দাস বিষয়টি জানতে পেরে, সেই ছেলেটিকে হত্যা করে এবং তার মেয়েকে, তার পছন্দের সেই ব্যবসায়ীকে বিয়ে করতে বাধ্য করেন। তার বিয়ে উপলক্ষ্যে পুরো জমিদার বাড়িকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল, সব দিকে শুধু তাজা ফুলের সৌরভ ।সবকিছু ঠিকঠাকই মনে হচ্ছিল, কিন্তু জমিদার সুপ্তো দাসের মেয়ে তার প্রেমিকের মৃত্যুতে তখনও শোকাহত। এবং মধ্যরাতের চতুর্থ প্রহরে, তার বিয়ের একদিন আগে, মেয়েটি তার ঘরের বারান্দা থেকে লাফিয়ে আত্নহত্যা করে। মেয়েটি তখনও তার বিয়ের পোশাক পরেছিল, তার রক্ত দিয়ে তার গায়ে জড়ানো ফুলগুলো রক্তাক্ত হয়েছিল । জমিদারের গৃহকর্মী এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে জমিদার সুপ্তো দাস ও তার স্ত্রীকে খবর দেয়।
YOU ARE READING
Bhooter rajje ek din
HorrorStep in the world of ghosts and witches. Embark on an epic trip through the realms of ghost. ভুতের রাজ্য একদিন ঘুরে আসুন। জানুন আসল সব ভুতের গল্প। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তবে হ্যা সাবধান একা রাত্রে কোথাও যাবেন না।