হ্যা ঠিক তাই। কিন্তু জানো? এইযে আমি এতো স্পষ্ট করে তোমাকে এমন সহজ করে সব বলতে পারছি এমন কিন্তু ছিলোনা সব। দেখতে ছোট, লিখতে সহজ সংসার নামের এই শব্দটার ওজন কতো জানো? অনেক, অনেক ভারী। মাঝে মাঝে টানা যায়না। কিন্তু তবু কতো সুন্দর, কতো নির্মম সুন্দর!
আমার মধ্যে মিশে আছে ওই টিপিকাল সমাজের আপব্রিংগিং। আমি ঝেড়ে ফেলতে চাইলেও আছে। যতোই ইমপালসিভ হয়ে থাকিনা কেন। আমি দীর্ঘ সময় নিয়ে ভেবেছি কী করা যেতে পারে। খুব বেশিকিছু বের করতে পারিনি, অথবা বের করতে চাইনিও। শুধু বুঝতে পারছিলাম যেই পরিস্থিতিতে আমি আলকাতরা মেশানো কাদার মতোন লেপ্টে আছি সেখানে গ্লু হিসেবে কাজ করছে আদিত্য।
প্রতিটা সম্পর্ক একটা নির্দিষ্ট সময় পর থিতিয়ে যায়। সব হয়ে যায় থোড় বড়ি খাড়া বা খাড়া বড়ি থোড়। হ্যা আদিত্য আমাকে ভালবাসতো, কিন্তু আমি ওর সাথে থেকেও জীবনের নির্দিষ্ট কোন পারপাস খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সন্তান নেয়ার কথা আমি ভাবিনি। আমি জানি আমি নিজেই ঠিক নেই। শুধুমাত্র নিজেকে ঠিক করার জন্যে আরেকটা জীবনকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেবো, এমন স্বার্থপর হতে পারিনি এখনো।
আদিত্যকে পথের কাটার মতোন মনে হতে লাগলো। ওর প্রতিটা কথা, কাজ অসহ্য ঠেকছিলো আমার। তুমি কী ভাবছো আমি জানি। হ্যা ও সমাধানের চেষ্টা করেছিলো সবকিছুর, কিন্তু আমি সাড়া দেইনি। আসলে আমি ওর সাথে আর কোন ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছিলাম না।
আজ কীভাবে চলে এলে?
তোমাকে তো আগেই বলেছি। ইমপালসিভ ডিসিশান নেয়া হলো আমার সিগনেচার স্টাইল। এইযে প্রথম বৃষ্টি এলো আজ, বহুদিন পর জানালা খুলে আমি যখন চোখ দুটো বৃষ্টিতে ভেজালাম তখন মাথায় আসলো তোমার নাম। মনে হলো তোমার সাথে বোঝাপড়ার সময় এসে গেছে। আর দেরি করলাম না তাই। টেলিফোন নম্বর মুখস্থ ছিলো তাই বেড়িয়ে পড়লাম।
আদিত্য বাধা দেয়নি?
হ্যা দিয়েছে তো। কৌফিয়ত দেয়ার ধৈর্য আর ইচ্ছা কোনটাই আমার ছিলোনা। গত বছর কেনা শখের শো পিসটা ওর মাথায় মেরে চলে এসেছি।
এই সময় আশেপাশে কোথায় যেন একটা বাজ পড়লো।
YOU ARE READING
এক রাতের গল্প
Mystery / Thrillerএক বৃষ্টিমুখর রাতে লেখক সৌম্যর কাছে হাজির হয় এক আগন্তুক। সে নাকি লেখকের সবচেয়ে বড় ভক্ত। আস্তে আস্তে অপ্রকৃতস্থের মতোন কথা বলা শুরু করে সে। কী তার আসল পরিচয়? আর তার উদ্দেশ্যই বা কী?