সর্বশেষ পর্ব

187 6 0
                                    

মর্ত্যলোক।
.
সর্বশেষ পর্ব (পর্ব-০৩ ও পর্ব-০৪ একত্রে)

চিঠিতে কোনো কিছুই স্পষ্ট বুঝতে পারছি না।অবশ্য স্পষ্ট করে শুধু আম্মা আর আমার প্রয়াত শশুরই বুঝবেন ভালো। তিনি তো চিঠি বইয়ের মতো করে লিখেন নি যে সবাই ভালো করে ধরতে পারবে চিঠিটা। এটা তাদের একান্তই ব্যক্তিগত চিঠি। মাঝে আমি নাক গলিয়ে গোয়েন্দাদের মত কিছু রহস্য উদঘাটন করতে চেষ্টা করছি। পরক্ষণেই আমার মনে পড়ল আমি বেশি করে ফেলছি। আমার আর এসবে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। সব চিঠি সুন্দর করে তাকের কোণায় রেখে দরজা লাগিয়ে আমি খুব সুন্দর করে রুম থেকে বেরিয়ে পরি।

রিশাদ আজকে অফিসে যায়নি। কারণ আজ শুক্রবার। কিন্তু সে একটু ব্যস্ত থাকে। সে নতুন বিজনেস করার জন্য প্ল্যানিং করছে। আমি তাকে কোনোদিন কোনকিছুতে আটকাই নি। সবসময় একটা কথা বলি,"তুমি যা ইচ্ছা তাই করো, শুধু খেয়াল রেখো যে তুমি কাউকে দুঃখ দিচ্ছ না। বাকি সব আমি সামলিয়ে নিব।"

এই কথায় সে একটু সাহস পেলো। তাই প্রতি শুক্রবারে সে একটু আলাদা করে ব্যস্ত থাকে। আমি তাকে এতটাও বিরক্ত করি না। শুধু তার কাছে রাতটা চেয়ে নেই। বিয়ের পর প্রথম ঘুরতে গিয়েছিলাম সিলেটে। সেখান থেকে ফিরে আবার পরিকল্পনা করছি আমরা পুরো পরিবার কক্সবাজার যাব৷

[~~]

"রিমা,রিমা!"

আমি দৌড়ে আম্মার ডাকে তার কাছে গেলাম।

"জ্বি আম্মা বলেন।"

"যাও রিশাদকে বলো আসতে। "

আমি রিশাদকে ডাক দিলাম। আসার সময় দেখি তার চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে। সেগুলো জলদি আমি ঠিক করে দিলাম।

মাঝে মাঝে ভাবি আমার স্বামী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বামী। পুরুষ রবিন পাখিকে বলা হয় পাখিদের জগতের শ্রেষ্ঠ স্বামী। কারণ তারা তাদের সঙ্গী পাখির কোন খাবারটি পছন্দ তা অনুমান করতে পারে। তারা মনোগ্যামাস। মানে সারাটা জীবন একই সঙ্গীদের সাথেই কাটিয়ে দেয়। আমার রিশাদ যেন আমার রবিন পাখি। অফিস থেকে ফিরলে রুমে ঢুকে আমার হাতে চকলেট গুজে দেয়। কখনো রাতের বেলা আইস্ক্রিম বাটিতে করে রুমে এনে আমাকে খাইয়ে দেয়। মাঝে মাঝে মনে হয় একদিন হয়তো সে আর এসব করবে না। কিন্তু আবার মনের মধ্যে আশার আলোও জাগে। আমি বিশ্বাস করি সারাটা জীবন সে আমার সাথেই কাটাবে।

You've reached the end of published parts.

⏰ Last updated: Apr 21, 2021 ⏰

Add this story to your Library to get notified about new parts!

শাড়িটা খুলে ফেলো রিমা!Where stories live. Discover now