পথের মাঝের গল্প

90 16 5
                                    

বাড়ির ভেতরে পা দিতেই যেন ঈদের খুশি ঘিরে ধরলো নীলিমা কে। সব ভাইবোনেরা একসাথে এসে ওকে জড়িয়ে ধরলো। আসলেই, ঈদ জিনিসটাই তো এমন! হাসি-আনন্দ মিলে একটা অন্যরকম অনুভূতি।


****************

প্লেটে ভাত নিয়ে এসে নীলিমা টিভির সামনে সোফায় এসে বসে দেখলো ছোট ভাই কার্টুন দেখছে..... নীলিমা বলল,
- রিমোটটা দে তো, অনিক!

নীলিমা মনে মনে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। কিন্তু অনিক কিছুক্ষণ কিছু একটা ভেবে চুপচাপ রিমোটটা নীলিমাকে দিয়ে বলল,

-নাও, আপু...

নীলিমা অবাক হয়ে বলল,
- কিরে? এত ভালো হয়ে গেলি কবে থেকে?

অনিক দাঁত বের করে হেসে বলল,
- না, আজকে অনেক দিন পর তুমি আসলে, আর কালকেই ঈদ তো, তাই ১০০% ডিসকাউন্ট!

নীলিমা বলল,
- তাহলে তো মনে হচ্ছে, প্রতিবারই এমন সময় আসতে হবে!

- ন্যাড়া কিন্তু বেলতলায় একবারই যায়!

বলেই অনিক দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল!

নীলিমা হেসে চ্যানেল চেঞ্জ করলো।

(খাওয়া শেষে, কিছুক্ষণ পর)

"ধুর! কোথাও ই কিছু হচ্ছে না! মেজাজটা গরম হচ্ছে! ইদানিং টিভি শো গুলো এত বিরক্তিকর!!"

নীলিমা টিভি বন্ধ করতে যাবে, তখনই কোনো এক চ্যানেলের ব্রেকিং নিউজে চোখ আটকে গেল!

হেডলাইনের উপরে ব্রেকিং নিউজে লেখা-
"ঢাকা থেকে যশোরগামী অধুনা এক্সপ্রেসের একটি বাস মণিহার স্টপেজ থেকে অর্ধ-কিলোমিটার দূরে দুর্ঘটনা কবলিত। ঘটনাস্থলেই ৩ জনের মৃত্যু এবং আহত ৭ জন।"

এটুকু পড়েই নীলিমা আৎকে উঠলো৷ কারণ নীলিমার বাসের নামও ছিল- অধুনা এক্সপ্রেস।

নীলিমা বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলগুলো বারবার পাল্টাতে লাগলো।

পথের মাঝের গল্প Where stories live. Discover now