নায়লা হরেক রকমের পিঠা বানানোয় ব্যস্ত। পাটিসাপটা, কুলি পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধপুলি আর খেজুর পিঠা। রোদেলার প্রিয় দুধপুলি আর রোদেলার বাবা রায়হান সাহেবের পছন্দ পাটিসাপটা আর ভাপা। অন্যসব পিঠা সচরাচর বানালেও খেজুর পিঠাটা এইবারই প্রথম আগ্রহ নিয়ে বানালেন তিনি। স্কুলে পড়াকালীন সোমেনা আপা বলেছিলেন তার খেজুর পিঠা অসম্ভব পছন্দের। তাই প্রিয় আপার জন্যই খেজুর পিঠা এতো আগ্রহ করে বানানো। তিনি খুব চিন্তায় আছেন পিঠাটা কেমন হয়েছে কে যানে?
রোদেলা বাড়িতে ফিরেই ছুটে রান্নাঘরে গেলো। খুব তৃপ্তির সাথে একটা সুঘ্রাণ নিয়ে মাকে বলল,
"আহা.... কি সুন্দর গন্ধ পিঠার!!"
রোদেলা এই বলে একটা ছোটো সাইজের ভাবা পিঠা নিতে যাচ্ছিল। নায়লা মেয়ের হাতে ছোটো খাটো একটা চড় বসিয়ে দিয়ে বললেন,
"এইগুলো কোন ধরনের স্বভাব!! বাইরে থেকে এসেই খাবারে হাত দিচ্ছিস! কি ধরনের কেয়ারলেস কাজ! যা আগে ফ্রেশ হয়ে জামা কাপড় পাল্টে আয়, তারপর খাবি।"
রোদেলা মুখ ভার করে বলল, "যাচ্ছি।"
রোদেলা ফ্রেশ হয়ে এসেই আবার রান্নাঘরে ঢুকে বলল, "মা তুমি খেজুর পিঠা বানিয়েছো? খেয়ে দেখি তো কেমন হলো।"
"এই খবরদার! একদম খাবি না! এটা আমি স্পেশালি সোমেনা আপার জন্য বানিয়েছি। তাই আগে আপা খাবেন তারপর সবাই।"
"সোমেনা আন্টির কি খেজুর পিঠা খুব পছন্দের?"
"হ্যা উনি খুব ভালোবাসেন।"
রোদেলা আর মা গেলেন সোমেনা আপার ফ্ল্যাটে। দরজা খুলেই তিনি হাসিমুখে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বললেন, "বাসায় কেউ নেই। আমি আর নাতনি আছি শুধু। এসো তোমরা ভিতরে এসো।"
সোমেনা যাচ্ছিলেন রান্নাঘরে নাস্তার আয়োজন করতে। হঠাৎ পিছনে ফিরে বললেন রোদেলার মায়ের দিকে তাকিয়ে বললেন,
"নায়লা।"
"জ্বি আপা?"
"খেজুর পিঠা নিজের হাতে বানিয়ে আনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।"
কথাটা বলে একটা মুচকি হাসি দিয়ে তিনি রান্নাঘরে চলে গেলেন। রোদেলা তার মাকে বলল,
YOU ARE READING
রোদেলার মেঘলা জীবন(সম্পুর্ণ)
Romanceকিছু কিছু মানুষের জীবন তো পরিপুর্ণতায় ভরপুর থাকে। কিন্তু সব পুর্ণতার মাঝেও যেন এক অপূর্ণতা এসে গ্রাস করে। মানুষের জীবনে কখন কি আসে তা কেউ বলতে পারে না। তাই সবসময়ই প্রস্তুত থাকতে হয় যেকোনো ধাক্কাকে সামলানোর। কিন্তু ধাক্কা আসবে কোন দিক থেকে?