#নেশা#২৭

46 1 0
                                    

#নেশা

লেখিকা : সৈয়দা রাইসা আবেদীন অহনা

পর্ব - ২৭

বলেই মেহেরুন জারার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। এদিকে জারা মিটিংরুমে আসলেই ফাওয়াদকে দেখে বলে,

জারা - হটাৎ মিটিংরুমে ডাকলে! কিছু কাজ ছিলো নাকি?

ফাওয়াদ - আজ একটা মিটিং আছে। আর তুমি তো জানোই আমি তোমাকে ছাড়া কোন মিটিং করি না। আর তোমাকে আগেও জানানো হয় নি তাই এখন বললাম৷

জারা - ওহ।

এদিকে কিছুক্ষন পর মিটিং শুরু হলে সবাই ডিসকাশন করতে থাকে কিন্তু ফাওয়াদ তখনও এক দৃষ্টিতে জারাকে দেখতে থাকে আর জারা সবার সাথে ডিসকাশনে ব্যাস্ত থাকে। এদিকে মিটিং শেষ করে জারা আর ফাওয়াদ দুইজনেই বাসায় আসার জন্য রওনা দেয়। গাড়িতে জারা ফাওয়াদকে বলে,

জারা - ফাওয়াদ! 

ফাওয়াদ - হুম বলো!

জারা - তুমি কি কিছু নিয়ে চিন্তায় আছো?

ফাওয়াদ - ন,,,না তো।

জারা - কিন্তু আমি কয়েকদিন ধরেই খেয়াল করেছি তুমি কিছু নিয়ে চিন্তা করো।

ফাওয়াদ - না না তেমন কিছুই না।

জারা - ওকে।

এদিকে রাতে ওরা বাসায় চলে আসে আর ফ্রেশ হয়ে ডিনার করে নেয়। দেখতে দেখতে জারার সেই কেসটির হিয়ারিং ডেট চলে আসে। জারা কেসটি জিতেও যায় আর এদিকে জারার উপর যারা নজর রাখছিলো তারা আর যারা জারাকে ফলো করতে করতে দেশের বাহিরে যায় তারা দেশে আসলে তাদেরও পুলিশ গ্রেফতার করে নেয়। দেখতে দেখতে জারা আর ফাওয়াদের বিয়ের প্রায় এক বছর হতে চললো৷ আর এই কয়েকমাসে ফাওয়াদ পুরোপুরি রিয়ালাইজ করে ফেলেছে যে যে জারাকে সে অনেক লাভ করে৷ আর তার জীবনে দ্বিতীয়বার ভালোবাসা আসায় তা সে কোন মতেই হারাতে চায় না। একদিন ফাওয়াদ তার রুমের বারান্দায় দারিয়ে ভাবতে থাকে আর বলে,

ফাওয়াদ - অনেক ওয়েট করেছি আর না। আমার মনে হয় জারাকে আমার মনের কথা বলেই দাওয়া উচিত। জারা কেমন রিয়্যাক্ট করবে তা ভেবেই এতোদিন পার করে দিয়েছি। বাট এখন আর না। যতোদিন না বলছি আমি নিজেও শান্তি পাচ্ছি না৷ আই থিংক আই শুড টেল হার। জারা যেমনই রিয়্যাক্ট করুক না কেন মনের কথা বলে দেই। পরেরটা পরে দেখা যাবে।

নেশা Where stories live. Discover now