#নেশা#১০

42 1 0
                                    

#নেশা

সৈয়দা : রাইসা আবেদীন অহনা

পর্ব - ১০

তখনি ফাওয়াদ পাশে তাকিয়ে দেখে যে অপর সাইডে জারা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। এতোক্ষন ফাওয়াদ যেন জারার কথা ভুলেই গিয়েছিলো। এদিকে ফাওয়াদ খেয়াল করে যে  জারার মাথা ফেটে রক্ত পড়ছে। এদিকে এসব দেখে ফাওয়াদ সেখানে আর এক মুহূর্তও না থেকে নাজাতকে তার গাড়িতে উঠিয়ে আবার দৌড়ে জারার কাছে গিয়ে জারাকে কোলে তুলে গাড়ির পিছনের সিটে শুইয়ে দিয়ে ফাওয়াদ তারাতারি গাড়ি ড্রাইভ করে হসপিটাল চলে আসে। হসপিটালে এসেই ফাওয়াদ পাগলের মতো ডাক্তারদের ডাকতে থাকে। আর তখনই হসপিটালের কতোগুলো নার্স এসে ফাওয়াদের গাড়ি হতে দুটি স্ট্রেচারে করে নাজাত আর জারাকে নিয়ে যায়। নাজাতের অবস্থায় বেশি ক্রিটিকাল থাকে বলে ডাক্তাররা দেরি না করে নাজাতকে সাথে সাথেই অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায় আর জারারও মাথা অনেকখানি ফেটে যাওয়ায় জারাকেও অন্য ডাক্তাররা আরেকটি অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। জারা আর নাজাতকে অপারেশন থিয়েটারে নাওয়া হলে ফাওয়াদ সেখানেই ধপ করে অপারেশন থিয়েটারের সামনে মাটিতে বসে পড়ে। এদিকে কিছুক্ষনের মধ্যেই জারা আর নাজাতের বাসার পাশাপাশি ফাওয়াদের বাসার সবাইও চলে আসে। তারা হসপিটালে এসেই দেখে যে ফাওয়াদের শার্ট  রক্তমাখা, গায়ে, হাতে,গালে রক্তে মেখে আছে। চুলগুলো উস্কখুস্ক হয়ে আছে। চুপচাপ অপারেশন থিয়েটারের সামনে বসে আছে। ফাওয়াদকে এইভাবে বসে থাকতে দেখে ফাওয়াদের মা, বাবা, নাজাতের মা, জারার মা সবাই ফাওয়াদের কাছে আসে।ফাওয়াদের মা ফাওয়াদের পাশে বসে ফাওয়াদের কাধে হাত দিলেই ফাওয়াদ পাশে ফিরে তার মাকে দেখে এতোক্ষনের জমানো চোখের পানি যেন অঝোর ধারায় পড়তে থাকে। ফাওয়াদ তার মাকে জরিয়ে ধরে কেদে দেয় আর ফাওয়াদের মা ফাওয়াদকে বারবার শান্তনা দিতে থাকে। এদিকে ফাওয়াদের মা এসব কিভাবে হয়েছে তা জানতে চাইলে ফাওয়াদ সব বলে। এমনকি জারা নাজাতকে বাচাতে গিয়ে কিভাবে আঘাত পেয়েছে তাও বলে। এসব বলে ফাওয়াদ সবাইকে বলতে থাকে যে,

ফাওয়াদ - সব আমার চোখের সামনেই হলো কিন্তু আমি কিছুই করতে পারলাম না। এমনকি জারা যখন নাজাতকে বাচানোর জন্য সেখানে দৌড়ে গেল তখনও আমি বুঝতে পারি নি জারা কেন এইভাবে দৌড়ে গেল। কতো বোকা আমি! আমি দুজনের একজনকেও রক্ষা করতে পারি নি।

নেশা Where stories live. Discover now