#নেশা#৯

39 1 0
                                    

#নেশা

লেখিকা : সৈয়দা রাইসা আবেদীন অহনা

পর্ব - ৯

এদিকে জারা কেবিনের বাহিরে এসে দরজা লাগিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় একবার কাচের দরজা দিয়ে রুমের ভিতরে নাজাত আর ফাওয়াদের দিকে তাকিয়ে দেখে যে ওরা কথা বলছে। আর জারা ওদের কথা বলতে দেখে এক মুচকি হাসি দিয়ে নিজের রুমে চলে আসে। এদিকে কয়েকদিন পর জারা তার বাসায় বসে কাজ করতে থাকে। তখনই জারার ফোনে ফাওয়াদের কল আসে। জারার তার ফোনে ফাওয়াদের নাম্বারটি ভেসে উঠতে দেখে জারা কলটি রিসিভ করতেই ফাওয়াদ বলে,

ফাওয়াদ - ব্যাস্ত নাকি? 

জারা - না। কেন?

ফাওয়াদ - এমনি।  তো কি করছিলে?

জারা - তেমন কিছুই না আসলে একটা কেসের ফাইল দেখছিলাম আর কি।

ফাওয়াদ - ওহ। আচ্ছা জারা কাল কি তুমি ফ্রি আছো?

জারা - হ্যাঁ ফ্রি আছি। কিন্তু কেন?

ফাওয়াদ - আসলে কাল নাজাত বিয়ের শপিং করতে যাবে। আম্মুও যাবে। তো তুমি সাথে গেলে ভালো হতো।

জারা - কিন্তু আমি সেখানে গিয়ে কি করবো? তাছাড়া আই থিংক আমার না গিয়ে তোমার যাওয়া উচিত। বিয়ের তোমার আর নাজাতের। তোমাদের বিয়ে তোমাদের যাওয়া উচিত আমি কেন যাব?

ফাওয়াদ - তুমি তো জানোই কাল আমি একটু কাজে ঢাকার বাহিরে যাবো। থাকলে তো আমিই যেতাম।

জারা - ওহ আচ্ছা। হ্যাঁ বলেছিলে। আমিইই তো ভুলে গিয়েছিলাম। আচ্ছা ঠিক আছে যাবো।

ফাওয়াদ - ওকে।

এদিকে পরেরদিন দুপুরের দিকে জারা ফাওয়াদের বাসায় এসে দরজায় নক করলেই বাসার সার্ভেন্টরা দরজা খুলে দিলে জারা বাসায় এসে বসলেই ফাওয়াদের মা আসে।

ফাওয়াদের মা - আরে মা নুর তুমি! কেমন আছো?

ফাওয়াদের মাকে আসতে দেখে জারা সোফা ছেড়ে উঠে দাড়ায় আর ফাওয়াদের মাকে সালাম দেয় আর ফাওয়াদের মাও সালামের উত্তর দাওয়ার পর দুইজনেই সোফায় বসে কথা বলতে থাকে,

নেশা Where stories live. Discover now