#নেশা
লেখিকা : সৈয়দা রাইসা আবেদীন অহনা
পর্ব - ৩
এই কথা জারা নিজে নিজেই একা একা বলতে থাকে আর সামনের দিকে এক তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছুড়ে ফেলে। এদিকে পরেরদিন জারা কোর্টে যায় এবং জারা তার কেসটি জিতেও যায়। কাজ শেষে জারা কোর্ট থেকে বের হতে নিলেই জারার ক্লাইন্টরা জারার কাছে আসে এবং বলে,
ক্লাইন্ট - আজ আপনার জন্যই আমরা সঠিক ন্যায়বিচার পেলাম।
জারা - সত্যি তো একদিন সবার সামনে আসবেই তা আজ হোক বা কাল, সত্যি কখনোই লুকিয়ে থাকে না। আর তাছাড়া আপনারা আপনাদের সঠিক ন্যায়েবিচার পেয়েছেন এটাই আমার জন্য অনেক।
জারা তার ক্লাইন্টদের সাথে আর কিছুক্ষন কথা বলে নিজের অফিসে এসে বসে আর পরবর্তি কেসের কিছু কাজ করতে থাকে আর তখনই জারার ফোনে ফাওয়াদের কল আসে,
জারা - হুম বলো। (জারা কাজ করতে করতে ফোনে কথা বলে)
ফাওয়াদ - তুমি কোথায়?
জারা - আমি কোর্টে, কেন?
ফাওয়াদ - না এমনি, আজ অফিসে আসো নি কেন?
জারা - আজ আসবোও না। আমি একটু বিজি আছি। আজ একটা কেসের হেয়ারিং ছিলো।
ফাওয়াদ - ওহ আচ্ছা, হ্যাঁ মনে পড়েছে তুমি বলেছিলে। আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম।
জারা - হুম।
ফাওয়াদ - আই এম সিউর কেসটা তুমি জিতেছো।
জারা - জ্বি ইয়েস।
ফাওয়াদ - কংগ্রাচুলেশন।
জারা - থ্যাংকস। আর আজ এমনিতেও আমার তোমার অফিসে তেমন কাজ নেই। সো আই হোপ কোন দরকার হবে না। আর যদিও হয় জানিয়ো।
ফাওয়াদ - ওকে।
জারা - বায়।
বলেই জারা ফোন কেটে দেয়। আর নিজের কাজ করতে থাকে। আর তখনই জারার অফিসরুমের ডোরে কেউ নক করলে জারা চোখ তুলে দেখতেই অবাক হয়ে যায়। কারন সেখানে জারার ফ্রেন্ড মেহেরুন আসে। মেহেরুনকে দেখে জারা বলে,
জারা - তুই! কবে আসলি? তুই না খুলনা ছিলি?
জারা তার চেয়ার থেকে উঠে এসে মেহেরুনকে জরিয়ে ধরে।