#নেশা#১১

36 1 0
                                    

#নেশা

লেখিকা : সৈয়দা রাইসা আবেদীন অহনা

পর্ব - ১১

কথাটি বলার সাথে সাথেই ফাওয়াদ জারাকে জরিয়ে ধরে কেদে দেয়। এদিকে জারাও ফাওয়াদকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে জারা নিজেও কাদতে থাকে।

৪ দিন পর,,,,,

আজ জারা মারা যাওয়ার চারদিন হয়ে গিয়েছে। আর এই চারদিনে ফাওয়াদ একবারও বাসা দিয়ে বের হয়নি। দরকার ছাড়া নিজের রুম থেকেও বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কিছুক্ষন পর ফাওয়াদের বাসার দরজায় কলিং বেল বেজে উঠলে ফাওয়াদের মা নিজে এসে দড়জা খুললেই দেখে যে দড়জায় জারা দাড়িয়ে আছে।

জারা - আসসালামু আলাইকুম আন্টি।

ফাওয়াদের মা - ওয়ালাইকুম আসসালাম। আসো ভিতরে এসে বসো।

জারা ভিতরে এসে বসতেই ফাওয়াদের মা জারাকে বলে,

ফাওয়াদের মা - কেমন আছো নুর।

জারা - এমন অবস্থায় কিভাবে ভালো থাকতে পারি আন্টি।

বলেই জারা এক দীর্ঘশ্বাস নিয়ে আবার বলে,

জারা - ফাওয়াদের কি অবস্থা আন্টি?

জারার কথা শুনে ফাওয়াদের মা এক দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলে,

ফাওয়াদের মা - সেই একই অবস্থা। কি আর বলবো। আজকাল নিজের কোন খেয়ালই ছেলেটা রাখে না। দেখোই তো কি অবস্থা করে বসে আছে। সারাদিন কিছুই খায় না। খাওয়া দাওয়া বলতে গেলে সব ছেড়েই দিয়েছে। রাতে অনেক জোরাজুরি করে খেতে নিয়ে আসি। নামে মাত্র কিছু খেয়ে আবার নিজের রুমে চলে যায়। কিছু জিজ্ঞেস করলে শুধু সেটার জবাব দেয় এছাড়া আর কিছুই বলে না। নাজাতকে যেদিন দাফন দিতে যায় সেদিন তোমাকে বলেছিলাম যে রেগুলার বাসায় এসো। যেন তোমার সাথে কথা বলেও কিছুটা ফ্রি হয়। কিন্তু ছেলে আমার যেন একদম নির্জীব হয়ে গিয়েছে।

বলেই আচলে চোখের পানি মুছে আবার বলে,

ফাওয়াদের মা - ফাওয়াদ না তোমার বেস্ট ফ্রেন্ড। প্লিজ কিছু তো করো। আমি দেখতে পারছি না আমার ছেলেকে এইভাবে।

বলেই ফাওয়াদের মা জারার দুইহাত নিজের দুইহাত দিয়ে মুষ্ঠীবদ্ধ করে কেদে দেয়। এদিকে জারা ফাওয়াদের মার এমন কান্না দেখে জারা বলে,

নেশা Where stories live. Discover now