#নেশা#৪

Start from the beginning
                                    

মেহেরুন - তোর কাছে কি মনে হচ্ছে আমি তোর সাথে ফান করছি? 

জারা - একদমই না।

মেহেরুন - তো গাধার মতো কারন ছাড়া শুধু শুধু হাসতেছিস কেন?

জারা - লিসেন আমার কথা শুন।

মেহেরুন - জ্বি বলেন আপা শুনতেসি। কারন আমি জানি এখন তুই আমাকে একগাদা ভাষন দিবি। আর আমি একটা জিনিস এখনও বুঝতেসি না যে তুই এমন চেঞ্জ হলি কিভাবে?  যেই মেয়েকে আগে কেউ উচু গলায়ও কিছু বললে তার ইগোতে লাগতো সেই মেয়ে কিনা ভরা জনসম্মুখে এক মেয়ের হাতের থাপ্পড় খেয়েছে যেই দোষ সে করেই নি আবার তার ইগোতেও লাগে নি? আবার উল্টো সেই মেয়ের মনের অবস্থা বুঝা শুরু করলো কবে থেকে হ্যাঁ?

জারা - এমন খেপতেসিস কেন?  একটু ভেবে দেখ সেই সময় নাজাতের জায়গায় তুই হলে তুইও তাই করতি?

মেহেরুন - আমি অতো শতো বুঝি না ভাই।

জারা - এইজন্যই তুই এখনও গাধা। সরি গাধা না গাধী৷

মেহেরুন - দেখ আমি মানি সেই সিচুয়েশনে মনের অবস্থা কি থাকতে পারে তাই বলে না জেনে শুনেই এইভাবে থাপ্পড় মারবে, এটা কোন কথা?

জারা - ভাই তোরে বুঝানো না কখনোই সম্ভব না বুঝলি!

বলেই জারা একরাশ বিরক্ত নিয়ে বাসায় ডুকতে নিলেই মেহেরুন জারার হাত ধরে জারার বাসার পাশের বাগানে নিয়ে আসে আর বলে,

মেহেরুন - ওকে ফাইন, তো ভালো মতো বুঝা আমিও বুঝি।

এবার জারা কিছুটা বিরক্ত নিয়ে মেহেরুনের দিকে তাকায় এবং বলে,

জারা - ওকে লিসেন, লেট রিমাইন্ড ইউ অ্যাগেইন,,,,, সেদিন আসলে কি হয়েছিলো,,,,,,, আমি খুলনাতে গিয়েছিলাম অ্যাজ ইউ নো,,,,,, আমি আমার গাড়ি নিয়েই আসছিলাম তখনই দেখি যে একটা সাদা গাড়ি একটা ছেলেকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেল যেটা দেখে আমিও আর কোন ওয়েট না করে সেই ছেলেটির সামনেই গাড়িটা রেখে সেই ছেলেটার কাছে যাই আর তখনই জানি না কোথায় থেকে নাজাত আসে আর এসেই কান্না করতে থাকে, কারন সেই ছেলেটা নাজাতের ছোট ভাই ছিলো নাজাত যখন আসে সেখানে আরো লোকজন জড়সড় হয়ে গিয়েছিলো আর সবাই বলতেসিলো যে এই গাড়ি দিয়েই নাকি অ্যাক্সিডেন্টে হয়েছে, আসলে তা হয় নি কারন যেই গাড়ি দিয়ে অ্যাক্সিডেন্টে হয়েছিলো সেই গাড়িটাও দুর্ভাগ্যবশত আমার গাড়ির মতোই সাদা ছিলো কিন্তু আমার গাড়ি ছিলো না সেটা কিন্তু আশেপাশের মানুষ এতোটা খেয়াল করেনি। কারন সেই অ্যাক্সিডেন্টের গাড়িটা অনেক ফাস্ট চলে যায় আর সেই গাড়ির পিছনেই আমার গাড়ি হওয়ায় সবাই ভাবে যে আসলে সেটা আমার গাড়ি দ্বারা হয়েছে। তো নাজাত সেখানে সেইসব লোকদের কথা শুনে রেগে উঠেই আমাকে সবার সামনে চড় মারে যেটার জন্য আমারও রাগ আসে যে কেন মারলো সত্যটা না জেনেই। যাই হোক তখন আমিও জানতাম যে এই সিচুয়েশনে আমার কথা কেউ শুনবে না মানবে না বিশ্বাসও করবে না তাই আমি সেই সিচুয়েশন সামলানোর জন্য বলি যে এই অ্যাক্সিডেন্টের পেসেন্টের সব ধরনের খরচ আমার, পেসেন্ট সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমি তার চিকিৎসার দায়ভার বেহন করবো তখন নাজাত সেই ছেলেকে নিয়ে আমার গাড়িতে করেই তোর হসপিটালে নিয়ে  আসি এন্ড দেন তোর হসপিটালের ডাক্তাররা সেই ছেলেটির ট্রিটমেন্টও করে আর সেই হসপিটালেই আমার তোর সাথে দেখা হয়ে যায় বলে তোকে এসব কথা শেয়ার করেছিলাম। আর তখন তো তোকে নাজাত চিনতোও না, আজ চিনলো।

নেশা Where stories live. Discover now