#নেশা#৩

Start from the beginning
                                    

মেহেরুন - হ্যাঁ ছিলাম। আজ সকালেই আসলাম। আমি তোদের বাসায় গিয়ে আন্টির কাছ থেকে জানতে পারলাম যে আজ নাকি তোর কেসের হেয়ারিং ছিলো। তাই এইখানেই চলে আসলাম। কারন জানতাম তুই এইখানেই থাকবি।

জারা - যাক ভালোই।

মেহেরুন - তো তোর দিনকাল কেমন চলছে?

জারা - অ্যাজ ইউসুয়াল। বাট এসব কথা রাখ তোকে দেখে তো মনে হচ্ছে তুই এমনি এমনি এখানে আসিস নি, কোন রিজনে এসেছিস। বল তো কাহিনী কি?

মেহেরুন - মাঝে মাঝে আমি ভাবি যে তুই আসলে লয়্যার নাকি মনোবিজ্ঞানী। কারন বুঝি না কিভাবে তুই কারো মনের কথা বুঝিস।

মেহেরুনের কথা শুনে জারা হাল্কা হেসে বলে,

জারা - দেখ একজন ডাক্তার আর একজন লয়্যারের কাছে মানুষ সবসময় সত্যি কথা বলে। আর লয়্যার হওয়ার পর ক্লাইন্টদের সত্য মিথ্যা কাহিনী শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি বলেই কে মিথ্যা বলছে আর কে সত্য বলছে তা বুঝতে পারি। কারন কেউ যখন কোন কথা লুকানোর চেস্টা করে বা মিথ্যা বলে তার ফেস রিয়্যাকশন অন্যরকম হয়ে যায় যা দেখলেই বুঝা যায়। ইভেন মোস্ট অফ দা টাইম কথার দ্বারাও বুঝা যায়।

মেহেরুন - ভাই আমি বললাম কি আর তুই বললি কি? আমি এইখানে সত্য মিথ্যার কি বললাম?

জারা - বলিস নি। কিন্তু আমি যা বলেছি তা তুই বুঝিস নি, আর আমি তোর কথার ভিন্ন উত্তরও দেই নি। যাই হোক তোর ফেস রিয়্যাকশন দেখে মনে হচ্ছিলো যে তুই কিছু বলতে চাচ্ছিস বাট হ্যাজিটেড ফিল করছিস, ফ্রিলি বলতে পারছিস না তাই গেস করলাম আর কি।

মেহেরুন - গেস না তুই সিউর ছিলি।

জারা - আচ্ছা বাদ দে এখন বল হয়েছে কি?

মেহেরুন - আসলে আমি ফ্রান্স যাচ্ছিলাম।

জারা - হোয়াট? কিন্তু কেন?

মেহেরুন - আরে ঘুরতে যাচ্ছি না, স্টাডির জন্য যাচ্ছি।

জারা - কিন্তু তোর স্টাডি তো অলমোস্ট শেষ। আর তুই খুলনা মেডিকেল থেকেই তোর পড়াশুনা শেষ করেছিস।

নেশা Where stories live. Discover now