বান্ধবী

36 0 0
                                    


তখন সবে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছি । পরীক্ষার পরে লম্বা একটা ছুটি পেয়েছি । মাঝে - মাঝেই বন্ধু - বান্ধবরা মিলে আড্ডা দিতাম , কাছা-কাছি ঘুড়তেও যেতাম । আজকের গল্পটি এরকমই একটা দিনের ।  আমরা কজন স্কুলের বন্ধুরা মিলে ঠিক করলাম , সিনেমা দেখতে যাব । 

কথা মতো সবাই মিলে দেখা করলাম , সন্ধ্যে সাড়ে ছটা নাগাদ  । সল্টলেকের  বাঁধাধরা গলির মুখে । সেদিন আমরা মোট সাতজন । আমাদের শো সাতটা থেকে নটা । এই কথা বলা বাহুল্য  - সিনেমা দেখে বেশ লেগেছিল , তখনকার নতুন নায়ক সবে সিনেমার জগতে পা দিতে না দিতেই ভালোই খ্যাতি অর্জন করেছিল  ।

 আমরা সিনেমা দেখে বেড়িয়ে , সিনেমা হলের গায়ে লাগোয়া একটা ফুড কোর্ট থেকে চিকেন রোল খেতে খেতে , নানা রকম গল্প বাঁধলাম বেশ খানিক্ষন । আমাদের গল্প গুলো শুরু হল - সিনেমার নতুন নায়কের অসাধারণ অভিনয় নিয়ে , এবং শেষ হল - আমাদের স্কুলের সামনের চিকেন রোলটার কথা নিয়ে , যেটা এখানের রোলের থেকে ঢেঁড় বেশি ভালো ।

এইসব নিয়ে গল্প করতে করতে খেয়ালই ছিলোনা , কখন পণে দশটা বেজে গেছে । আমাদের মধ্যে রাহুল ছিল সব থেকে দায়িত্বশীল  । কথা বলার মাঝখানে মাঝখানে , আমাদের সময়ের ব্যাপারটা সেই মনে করিয়ে দিচ্ছিল বারে-বারে । শেষ মেষ সে বলে উঠল - "শোন , তোরা থাকলে থাক ! অনেক রাত হয়ে গেছে । পণে দশটা বাজে, মায়ের ফোন আসা শুরু হয়ে গেছে - আমি চললাম ।"

এই কথা শোনার পর কার ভয় লাগবে না , আমি জানিনা । আমাদের কিন্তু সবারই হৃদপিণ্ড একসাথে কেঁপে উঠেছিল । কি বলছেন ? হৃদপিণ্ডের আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলাম কিনা ? আরে না না তা শোনা যাবে কেন ? আমাদের সবার মুখই - মায়েদের ভয়ে -  প্রায়ে ফ্যাঁকাসে হয়ে উঠেছিল । কেউ আর বেশি কথা বললাম না । সবাই সবার মনের অবস্থা বুঝেই - " আবার দেখা হবে " বলে , বিদায় নিলাম ।

আমি ছাড়া বাকি বন্ধুদের বাড়ি অন্য রুটে । আমার বাড়ি স্লটলেক হয়েই ফেরা যায় , সময় ও কম লাগে । তাই কিছুক্ষনের মধ্যেই বন্ধুরা বেড়িয়ে গেল । আমিও অটো ধরব বলে , একটা ছোট খাবারের দোকানের পাঁশে এসে দাঁড়ালাম । 

You've reached the end of published parts.

⏰ Last updated: Aug 05, 2020 ⏰

Add this story to your Library to get notified about new parts!

অন্ধিসন্ধিWhere stories live. Discover now