Part - 17

179 8 0
                                    


মুহুর্তের মধ্যে অলোকের গর্জনে মহল গম গম করতে লাগল।। এই গভীর রাতেও দাস দাসীরা এদিক সেদিক দৌড়াতে লাগল।। রাজ বৈদ্যরা নানা পথ্য নিয়ে এক বার আসছেন একবার যাচ্ছেন।। কেউ ঔষুধি লতা, কেউ মূল্যবান শেখর বাকড় নিয়ে আসছেন।।
মায়া অলোকের রাজকীয় বিছানায় নিষ্প্রাণ ভাবে শুয়ে আছে এক হাত পেটের উপর অপর হাত টা লতার মত অন্য দিকে ঝুলে আছে।। একটু পর পর নড়ে উঠছে।। যেন কোনো কিছুর জন্য তড়পাচ্ছে।। রাজ বৈদ্যরা তার আশে পাশে তাদের চিকিৎসা চালাচ্ছে।। অলোক একটু দূরেই দাড়িয়ে ছিল।। সে হাত দুটো পিছনে দিয়ে চোখ মুদে আছে।। সে এই দৃশ্য একদম সহ্য করতে পারছেনা।। মায়া তড়পাচ্ছে।। মুখ দিয়ে গল গল করে সাদা ফেনা বেড়ুচ্ছে।। মাঝে মাঝে আধ খোলা চোখ দিয়ে অলোক কে শূন্য হীন দৃষ্টিতে দেখছে।। অসহ্যকর একটা দৃশ্য।। অলোকের মনে হচ্ছে তার সবুজ চোখা রাজকুমারী তাকে ডাকছে।। তার কষ্ট সহ্য হচ্ছে না।। যেন অনুরোধ করছে কষ্ট টা কমিয়ে দিতে।। হাত পা ঘেমে আসছে অলোকের।। বুঝতে পারছে না কি হয়েছে?? 
.
একজন চিকিৎসক মাথা নুয়ে অলোকের সামনে দাড়ালো।। চোখ বন্ধ অবস্থায় অলোক জিজ্ঞেস করল
.
---- বল কি হয়েছে মায়ার??
.
---- সম্রাট মাফ করবেন।। রাণী মায়া কে খাবারের সাথে বিষ দেয়া হয়েছে।।
.
ঝট করে চোখ খুলে ফেলল অলোক।। রাগে চেহারা টা ফুসে উঠছে।। পুরো মুখো মন্ডল লাল বর্ণ ধারন করেছে।। রাজ চিকিৎসকের সাহস হচ্ছে না সেই লোহিত বর্ণের চেহেরার দিকে মুখ তুলে তাকাতে।। কিছুটা ভয়ে কাপতে কাপতে চিকিৎসক বলল
.
---- সম্রাট আমরা রাণী মায়া কে বাচানোর যথা সম্ভব চেষ্টা করছি।। কিন্তু যে বিষ তাকে দেয়া হয়েছে সেটা অতি দূর্লভ বিষাক্ত ফুল সম্রাট।। সেটা আমাদের রাজ্যে পাওয়া যায় না।।
.
---- তাহলে কোথায় পাওয়া যায়??
.
---- সম্রাট আমাদের পাশের রাজ্য অম্ভুদ নগরীতে ফোটে।। এবং সেটা শুধু মাত্র বিশ বছরে একবার ফোটে।। যখন ফোটে তখন সংগ্রহ করে শুকিয়ে গুড়া করে এই বিষ তৈরি হয়।।

----- চেষ্টা নয়!! মায়া কে সুস্থ কর।। সূর্য ওটার আগে আমি ওকে সুস্থ দেখতে চাই।। আর ও যদি সুস্থ না হয় তাহলে সেই ফুল খাইয়ে তোমাদেরও একি হাল হবে।।
.
----- দয়া করুন সম্রাট।। আমাদের মাফ করেন!!
.
অলোক জবাব দিল না। গট গট করে বেড়িয়ে গেল।। পরিবেশ টাই বিষাক্ত হয়ে গেছে।।
.
অলোকের খাস দাসী দারাহ ছোটা ছুটি করছে কয়েক ঘন্টা ধরে।। উদ্দেশ্য আসল অপরাধী কে ধরা।। কিন্তু রাণী মায়ার সবকিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।। খাবারের ব্যাপারে ও তাই।। যাদের উপর রাণী মায়ার খাবার দাবার রান্না ও পরিবেশন করা ন্যস্ত তারা খুবই বিশ্বস্থ।। ওই দাসীদের সাথে কথা বলে দারাহ বুঝতে পারল তারা সাধারন দাসী।। যে করেছে তার নিশ্চয় ক্ষমতা আছে।। অলোক কে জানানোর পর অলোক দারাহ কে একজন বিশেষ মানুষ সম্পর্কে খোজ খবর নিতে বললেন।। দারাহ এখন তাতেই ব্যস্ত।। দূত পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন বৈদ্যর সাথে কথা বলছেন।। তারপর মহলের বিভিন্ন দাসীর সাথে কথা বলবেন।। 
.
অবশেষে কিছু প্রমান হাতে অলোকের কাছে উপস্থিত হলেন।। অলোক তখন মহলের বাইরের বাগানে দাড়িয়ে আছেন।। এই বাগান টা বিশেষ ভাবে সে মায়ার জন্য তৈরি করেছিলেন।। আজ তাদের প্রথম রাত ছিল।। পূর্ণিমা চাঁদের দিকে তাকিয়ে চোখ মুদল অলোক।।
.
----- সম্রাট??

Every Thing Is Fair In Love And War ♥जहाँ कहानियाँ रहती हैं। अभी खोजें