Part - 14

177 10 0
                                    


দাসী লিয়া মায়ার পাশেই আছে।। সে যেন এক মুহুর্তের জন্য তাকে চোখের আড়াল করছে না।। হয়ত সেটা ও তার সম্রাটের নির্দেশ।। তার দিকে তাকিয়ে মায়া তাকে পানি দিতে বলল।। মাথা নাড়িয়ে লিয়া পানির পাত্র থেকে পানি ঢেলে দেবে ঠিক সেই মুহুর্তে ভারী দরজা টা ঠেলে কেউ ভিতরে আসল।। ভিতরে ঢুকলো একজন দাসী।। মাথা নত করে অভিবাদন জানিয়ে বলল যে সে তাকে এ মুহুর্তে নিয়ে যেতে এসেছে।। শুনে মায়ার ধুক ফুকানি কিছুটা বেড়ে গেল।। শুকনা ভাবে হেসে সম্মতি জানালো।। তারপর লিয়া পানির পাত্র এগিয়ে দিলে মায়া পানি না খেয়ে লিয়া কে বলল
.
----- ওকে চলে যেতে বল।। তুমি গেলে হবে আমার সাথে।।
.
---- কিন্তু রাজকুমারী সম্রাট তো """""
.
---- যা বলছি তাই কর!!!
.
মায়া ধমকে উঠল।। ধমক খেয়ে লিয়া কাচুমাচু হয়ে ওই দাসী কে বিদায় করতে চাইল।। কিন্তু ওই দাসী মায়া কে ছেড়ে যেতে নারাজ।। তখন ওই লিয়াও ঐ দাসী কে ধমক দিল।। ধমক খেয়ে গাই গুই করতে করতে ওই দাসী চলে গেল।।
.
.
মায়া মহলের মাঝ বরাবর রাস্তা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।। পিছে পিছে চলছে লিয়া।। সে পথ দেখিয়ে দিচ্ছে।। পাতলা ঘোমটার ভিতর থেকেও মায়া ইতি উতি তাকিয়ে বীর কে খুজছে।। কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না।। পানির তৃষ্ণা পাওয়ার পরও পানি না খাওয়ায় তার গলা ফেটে যাচ্ছে।। কিন্তু ভ্রুক্ষেপ করল না।।
কিছুক্ষন পর মায়া লক্ষ করল যে আশে পাশে যেসব সৈন্য থাকার কথা সেগুলা দেখা যাচ্ছেনা।। মহল খালি রেখে কোথায় গেল?? এমন টাই ভাবছিল সে।। ঠিক সে সময় সামনে থেকে এক ঘোমটা পরিহিত মহিলা ডালা হাতে ধীর গতিতে এগিয়ে আসছে।। দেখেই মায়া বুঝে গেল যে এটা বীর।। খুশি হতে লাগল আর সে সাথে ভয় হতে লাগল।। যদি পালাতে না পারে??
.
যতই বীর এগিয়ে আসছিল ততই মায়া অস্থির হয়ে পড়ছিল।। ভয় বেড়ে যাচ্ছিল।। বীর পাশ কাটিয়ে যেতেই মায়া চোখ বন্ধ করে ফেলল, চলা থামিয়ে ফেলল।। চোখ খুলল লিয়ার ডাকে।।
.
---- রাজকুমারী!!! 
.
পিছনে ফিরল মায়া।। ফিরেই তার রক্ত জমে গেল।। কারন লিয়ার পিছনে বীর দাড়িয়ে।। কিন্তু লিয়া তাকে দেখেনি।। মায়া ওখানে দাড়িয়ে একটা ঢোক গিলল।। তারপর সে দেখল যে বীর তার খঞ্জর টা বের করছে।। মায়া চোখ বন্ধ করে ফেলল।। সে আর রক্ত দেখতে চাই না।। চাই না কোনো নিরপরাধের জীবন যাক।। তাই ঝট করে আবার চোখ খুলে ফেলল।। বীর লিয়ার গলায় পোছ মারার আগেই মায়া বীরের হাত ধরে ফেলল।। যেমন চমকে উঠল বীর ঠিক তেমনি লিয়া।। মায়ার ব্যবহারে বীর হতবাক।। তথাপি সে সময় নষ্ট করতে রাজি না।। তাই অপর হাতের শক্ত ডালা দিয়ে লিয়ার ঘাড়ে একটা বাড়ি দিয়ে দিল।। লিয়া চোখ বড় বড় করে ফেলল।। তারপর একটু কেপে উঠেই ধপাস করে নিচে পড়ে গেল।। মায়া তাড়াতাড়ি বলে উঠল
.
---- বীর!! কি করলে এটা??
.
---- রাজকুমারী ওর কিছু হয় নি!! সামান্য বেহুশ হয়েছে।। চলেন তাড়াতাড়ড়ি।।
.
এই বলে মায়া কে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তার হাত ধরে জোরে টান দিল।। কিছুটা ব্যাথা পেলেও মায়া বীরের সাথে দৌড়াতে লাগল।।
.
বেশ কিছুক্ষন হয়ে যাচ্ছে।। কিন্তু মায়া এখনো আসছেনা।। যতই সময় গড়াচ্ছে ততই অলোকের দুশ্চিন্তা বেড়ে যাচ্ছে।। এত সময় নিচ্ছে কেন মায়া?? শেষে অধৈর্য্য হয়ে ওই দাসী কে জিজ্ঞেস করল 
.
----- মায়া কোথায়?? ও এখনো আসে নি কেন??
.
দাসী টি নত মুখে জবাব দিল
.
----- সম্রাট আমি আনতে গিয়েছিলাম।। কিন্তু ঈরানভা রাজকুমারী বলেছিল সে নাকি আমার সাথে আসবেনা।। উনি দাসী লিয়ার সাথে আসবেন।।
.
অলোক চিন্তায় পড়ে গেল।। তাই আবার ওই দাসী কে দেখার জন্য পাঠালো।। কিন্তু পাঠানোর কিছুক্ষন পরেই দাসী টি হন্ত দন্ত হয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে চলে এল।। হাপাতে হাপাতে বলল
.
---- স-সম্রাট!!
.
---- কি হয়েছে!!!

Every Thing Is Fair In Love And War ♥Where stories live. Discover now